Type to search

২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি

জাতীয়

২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : ২১ ফেব্য়ারুরী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ নামে  স্বাকৃতী পাওয়া খুব একটা মসৃণ ছিল না।

১৯৯৮ সালের ২৯শে মার্চ জাতিসংঘের তখনকার মহাসচিব কফি আনানের কাছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ নামে একটি দিবস ঘোষণার প্রস্তাব দেন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ নানা দেশের একদল মানুষ। প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন সাত জাতি ও সাত ভাষার ১০ জন সদস্য। তবে মহাসচিবের দপ্তর জানিয়ে দেয় এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে হবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কোর সঙ্গে।

যোগাযোগ করলে ১৯৯৯ সালের ৩রা মার্চ ইউনেস্কো, জানায় প্রস্তাবটি পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদের সভায় তুলতে হবে। প্রস্তাবকারীদের একজন রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত প্রস্তাবটি পাঠিয়ে দেন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে। যেখানে চলছিল সংস্থাটির ৩০তম সাধারণ সম্মেলন।

অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন তখনকার শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পক্ষে জনমত ও গড়ে তোলেন তিনি। তবে সবচেয়ে কঠিন ছিল পাকিস্তানের সমর্থন আদায় । আর ইউরোপীয় অনেক দেশের দাবি ছিল অন্য কোন দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া । কিন্তু এ এস এইচ কে সাদেক তাদের বোঝাতে সক্ষম হন, ভাষার অধিকারের জন্য একমাত্র রক্ত ঝরেছে বাংলার জন্যই।

এরপর আর কোন বাধা থাকে না । ঐতিহাসিক সেই অধিবেশনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব। সমর্থন দেয় ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ফিলিপাইন, মিসর, শ্রীলঙ্কাসহ ১৮৮টি দেশ। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করে।

সূত্র: ডিবিসি।ডেস্ক
ডিবিসি