Type to search

ঝিকরগাছার গদখালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রিন্স দ্বারা উদ্যোক্তকে গলাধাক্কা : ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

অপরাধ

ঝিকরগাছার গদখালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রিন্স দ্বারা উদ্যোক্তকে গলাধাক্কা : ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

 

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ দ্বারা পরিষদের ১২বছরের পুরাতন উদ্যোক্তা গলাধাক্কা ও চাবি কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উদ্যোক্তা হাসান রেজা। তিনি গদখালী গ্রামের তমিজ উদ্দীন খাঁ’র ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪নং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে প্রিন্স আহমেদ। তিনি বিগত ০৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শপথ গ্রহন করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বিভিন্ন সময় উদ্যোক্তা হাসান রেজাকে দিয়ে অনৈতিক কার্র্যক্রম পরিচালনার জন্য চেষ্টা করেন। অনৈতিক কার্যক্রমে সম্মতি না পেয়ে তিনি অভিযোগকারী উদ্যোক্তা থাকার পরও তার মন উক্তি নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ফতেপুর গ্রামে মহব্বত আলীর ছেলে নাসির উদ্দিনকে নিয়োগ দিচ্ছেন। নাসির উদ্দিন পূর্বে গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের গোপনীয় পাসওয়ার্ড হ্যাক, সীল, প্যাড, বিভিন্ন সনদপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অপকর্ম করায় তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর অবগত হওয়ার পর, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে গ্রেফতার কার হয়। নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ধারার ১৮৬০নং কোর্ডে মামলা রয়েছে। মামলা নং ১৪/২২৩, তারিখ ২৫/১১/২০২১ইং। এছাড়াও চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ উদ্যোক্তাকে দিকে তার অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারাই রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা অনুমান ১১টার দিকে তিনি উদ্যোক্তার রুমে প্রবেশ করে উদ্যোক্তাকে হুমকিসহ অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে রুমের চাবি কেড়ে নিয়ে গলাধাক্কা দিয়ে বাহির করে দেয়। বিষয়টি খুবই নেক্কারজনক হওয়ায় উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুদৃষ্টি কমনা করছি অভিযোগকারী উদ্যোক্তা হাসান রেজার নিকট থেকে রুমের চাবি কেড়ে নিয়ে গলাধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হ্যা ও উপস্থিত বেয়াদব। ওর নিকট থেকে চাবি নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বলেন, হ্যা নাসিরকে আমি নিয়োগ দিয়েছি। নাসিরের বিরুদ্ধে মমলা থাকার বিষয়ে তার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওর নামে মামলা আছে কি না আমি জানি না। উদ্যোক্তা হাসান রেজার নিকট থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে গলাধাক্কা দিয়ে বাহির করে দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, চাবি নিয়ে নেওয়া হয়েছে তবে গলাধাক্কা দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, বিকালে আমার নিটক একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।