এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশো একর ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি। হুমকির মুখে বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ কিংবা উচু স্থানে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুলি এলাকার স্কুল, কলেজ মসজিদসহ ফসলি জমি। ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পুরাতন বাঁধের কয়েকটি অংশেও।
স্থানীয়রা জানান, এখানে অনেক বড় একটি আমের বাগান ছিল, সেটা একদম নদী গর্ভে চলে গেছে। এর আগে এরকম ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা যায়নি। ফসলি জমি যা ছিল, সব নষ্ট হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো পদক্ষেপ না দেয়ায় এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারত থেকে অস্বাভাবিক পানি ঢোকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখানে ভাঙ্গন রোধে যেকোন ব্যবস্থা নিলেই তা কোন কাজে আসছেনা। আমরা কাজ করছি, পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চাই যেন সবাই মিলে অবস্তা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।’
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ চোরম্যানের মাধ্যমে সেখানে আমরা ত্রাণ এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করছি। এরপরও যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলেও আমরা ত্রাণ সহায়তা পোঁছে দিব।’
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে শাজাহানপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।সূত্র,ডিবিসি নিউজ