Type to search

যাত্রা শুরুর একমাস পূর্ণ করলো ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প

জাতীয়

যাত্রা শুরুর একমাস পূর্ণ করলো ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

 

ভাসানচরে একমাস পূর্ণ করলেন প্রথম দফায় স্থানাস্তরিত রোহিঙ্গারা ; কক্সবাজারের ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া ছিলো সেরা সিদ্ধান্ত, বলছেন তারা।  

ভাসানচরে প্রথম দফায় যাওয়া ১ হাজার ৬শ’ ৪২ জন রোহিঙ্গা বসবাসের এক মাস পূর্ণ করলেন। এই সময়ে জীবনের সেরা স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পেয়েছেন তারা। মাথার উপর নিরাপদ ছাদ আর তিনবেলা খাবারের নিশ্চয়তার পাশাপাশি, মিলেছে সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর খেলাধুলার সুযোগও। তারা বলছেন, কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার চিন্তাটা ছিলো জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।

ভিনদেশেও শৈশব নিরাপদ, উচ্ছল, ভয়হীন। কক্সবাজারের ঘিঞ্জি ক্যাম্পের প্রচন্ড গরম, কনকনে ঠান্ডার প্রকোপ নেই। তাই প্রত্যেকটা দিন এখন প্রাণবন্ত। একমাস আগে যখন এসেছিলেন, নানা জনের নানা কথায় কিছুটা ভয় ছিলো। আস্থাও ছিলো। এই একমাসে সংশয় কেটেছে, বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পজুড়েই জীবনের জয়গান। নিত্য পণ্যের দোকান, ছোট্ট রেস্তোরা, প্রসাধনীর ব্যবসা- কী নেই ভাসানচরে। আছেন নরসুন্দররাও। ভাসানচরে আসার সময়, রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। সেই মূলধন দিয়েই উদ্যোক্তা বনে গেছেন রোহিঙ্গারা।

চাল,ডাল, তেল, নুন, রান্নার গ্যাসের যোগান দিচ্ছে এনজিওগুলো। বাড়তি চাহিদা মেটাতে আছে বাংলাদেশীদের বাজার।

আশ্রয়ণ প্রকল্প হিসেবে ভাসানচরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৬৪২ জন বাসিন্দা নিয়ে। এ সময়ে যোগ হয়েছে আরো চার নবজাতক। আর ২৯ই ডিসেম্বর তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরো ১৮০৪ রোহিঙ্গা।

সূত্র, DBC বাংলা