স্থানীয়রা জানায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের সঙ্গে তার তিন ছেলের বিরোধ চলে আসছিলো। এক পর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার পর্যায়েও পৌঁছায়।
স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পরও আব্দুল লতিফের ছেলে মোস্তফা তাজওয়ার আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইন সহায়তা কেন্দ্রের বিভাগীয় প্রধান (ঢাকা জোন) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ২৮ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফের কাছে একটি সালিশ বৈঠকের জন্য নোটিশ দেন। বৈঠকের দিন অনুযায়ী শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে জীবননগরে পৌঁছায় আসক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান মো. লোকমান হোসেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল রহমান এবং সহকারী বিভাগীয় প্রধান মাসুম বিল্লাহ। এছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়িবহর নিয়ে আরো ২০-২৫ জনের একটি টিমও পৌঁছায় সেখানে।
এ বিষয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম মুক্তার জানান, অসাকের সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে নামার পরপরই জনরোষের মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আইন সহায়তা কেন্দ্রের সদস্যদেরকে মারতেও উদ্যত হন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে পুলিশের সদস্যরা তা শান্ত করার চেষ্টা করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কিছুক্ষণ পর আইন সহায়তা কেন্দ্রের তিন কর্মকর্তা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান এবং আইন সহায়তা কেন্দ্রের বাকি সদস্যরাও মাইক্রোবাসযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
সূত্র, DBC বাংলা