Type to search

যশোর ৮৮/ ৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আরশাদ পারভেজ

অন্যান্য

যশোর ৮৮/ ৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আরশাদ পারভেজ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর ৮৮/৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান আওয়ামীলীগ নেতা
প্রকৌশলী আরশাদ পারভেজ। অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন
নিয়ে গঠিত যশোর-৮৮/৪ নির্বাচনী এলাকা। এ আসনের ভোটাররা মনে
করছেন আগামী নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হবে।
আসবে নতুন মুখ। সে হিসেবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের
যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মাঠে নেমেছেন। তরুণ, মেধাবী, প্রকৌশলী
হিসেবে ইতিমধ্যে এই আসনে বিভিন্ন এলাকার মানুষের মনের মাঝে
ব্যাপক পরিচয়-পরিচিতি হয়ে সাড়া ফেলেছেন, জননেতা তারুন্যের
প্রতিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্ধসঢ়;, সাবেক কেন্দ্র
ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির
সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ। এ আসনে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে
জানা গেছে, সাধারণ ভোটারদের অভিমত তারা সংসদ সদস্য হিসেবে
নতুন এবং তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত, সৎ, ন¤্র, ভদ্র মুখ দেখতে চান। যারা
এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেবেন। এজন্য মাঠেও
নেমেছেন ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ। স্থানীয়রা জানান, পরপর তিনবার
শেখ হাসিনা যেমন তার সরকার গঠনে নতুন মুখের চমক দেখিয়েছেন।
তেমনি আগামী নির্বাচনী যশোর-৪ আসনে নতুন মুখ হিসেবে
কাকে দেবেন এ প্রশ্ন জনমনে। তবে এ আসনে নতুন কেউ বিজয়ী হলে
উন্নয়ন, অগ্রগতি ও বিভিন্ন কাজে আসবে গতির ধারা। সেই
হিসেবে নতুনদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন যশোর জেলা
আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ। বর্তমানে আওয়ামী
লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৩/৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) মহানগর ছাত্রলীগের সাথে
থেকে আনদোলনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ও
জামায়াতের বিরুদ্ধে কানসার্ট আন্দোলনের সময় খায়রুজ্জামানের
নেতৃত্বে তৎকালীন ছাত্রলীগে থেকে ভ‚মিকা পালন করেছেন। ২০০৭ সালে
জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনের তিনি অংশ গ্রহণ করেন।
২০০৯/১৩ রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ২০১৬/২০১৯

সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির
সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন
পরিচালনার কমিটির আওতায় গঠিত তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির
সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল
পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ
ইঞ্জিনিয়ার্স কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সদস্য
হিসেবে ভ‚মিকা রেখে চলেছেন। নির্বাচনী হালচাল নিয়ে কথা হয়,
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক
লীগের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ানের সাথে তিনি বলেন, আমরা এলাকার
উন্নয়নে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে যশোর-
৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই তিনি হলেন, নওয়াপাড়ার
সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ। তিনি আওয়ামী লীগের যত
কর্মসূচী আছে। তা তিনি নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ
করে চলছেন। শারদীয় দুর্গা পূজার প্রতিটা মন্দিরে সহযোগীত
করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল ও দাতব্য
প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিএনপি
জামাতের নৈরাজ্য ঠেকাতে বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া এলাকায়
শান্তি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে যাচ্ছেন। প্রেমবাগ গ্রামের
মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়নে
সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে যশোর-৪ আসনের
প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। শংকরপাশা গ্রামের রুবেল হোসেন
জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নতুন ও তরুণরা নেতৃত্ব দেবেন।
এজন্য আরশাদ পারভেজ মেধাবী, চৌকস, বুদ্ধিমান এবং আগামী দিনের
নেতৃত্বে বলিষ্ঠবান হবে। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সে অগ্রণী
ভ‚মিকা রাখবে। কথা হয় বাঘারপাড়া উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের
আলাউদ্দিনের সাথে তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন দেখতে
চেয়েছিলাম, তা দেখতে পারিনি। বাঘারপাড়ার মানুষ আজ হতাশ। এ
কারণে আমরা নতুন প্রার্থী দেখতে চায়। যিনি এলাকার মানুষের সাথে
মিলেমিশে থাকবে নিয়মিত এলাকায় এসে খোঁজ খবর নেবেন। মানুষের
সুখ-দুঃখে থাকবে তাকেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চাই।
ইতিমধ্যে আরশাদ পারভেজ বাঘারপাড়ায় নজর কেড়েছেন। দলীয়
প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি পালন করে চলেছেন। তিনি
ইতিমধ্যেই শান্তি সমাবেশ ও গণ মিছিলসহ দলীয় প্রোগ্রাম করে
যাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী আরশাদ পারভেজ বলেন, এলাকার উন্নয়নে
আমি সব সময় সবার সাথে ছিলাম। আগামীতে ও থাকবো। জাতীয়

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছি।
নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন আমি তার সাথে থাকবো। নেত্রী যদি
আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। আগামী
নির্বাচনে আমি মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করি তাহলে বাঘারপাড়া ও
অভয়নগরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এলাকায় বিনোদন ও
খেলার মাঠ না থাকার কারণে যুবকেরা মোবাইল র্নিভর হয়ে পড়েছে, এ
বিষয়টি নিয়ে আমাকে বেশ ভাবায়। তাই আমার পরিকল্পনা আছে দুই
উপজেলায় উপযুক্ত খেলার মাঠ তৈরি করা। যাতে তারা মাদক থেকে দ‚রে থাকে।
বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সংযুক্ত করা হলে তাদের মন ভালো
থাকবে।নওয়াপাড়া নৌবন্দরকে আধুনিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে
তুলে বেকার সমস্যা সমাধান করা হবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন,
দলীয় কর্মস‚চি সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত
রেখেছি। এছাড়াও শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অভয়নগর,
বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউপি এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ
পালন করে যাচ্ছি। তাই আগামী দিনে দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশ বান্ধব ও ক্লিন
পরিবেশের সাথে স্মার্ট দুটি উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য তিনি
সকলের কাছে ভালোবাসা, দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।