Type to search

মাটির পুতুল

সাহিত্য

মাটির পুতুল

বিলাল মাহিনী

ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিশি জাগা ঠোঁটের আভা ছড়িয়ে পড়ে পাতায় পাতায়
ওদিকে এক ফালি আলো জ্বেলেছে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ
অস্তদিগন্ত পড়ে আছে নিকট অতীতে
সূর্যের নিষ্প্রভ আঘাতে আহত নোনা জল
কবিতার পাণ্ডলিপি হারিয়ে গেছে গহিন বনে
অল্পবিস্তর অতীত আর দূরাগত আশার ভাঁজে লুকিয়ে থাকে কবির শৈল্পিক চরণ।

একটা নিষ্পাপ স্বপ্নের খিলখিল হাসি আর খুনসুটি দেখে
জ¦লে পুড়ে মরে মীর জাফর আর ঘোষেটি বেগম!
ওদের গতর থেকে খসে পড়ে শান্তির লেবাস
রোদে ভিজে যায় শাপলার ফোয়ারা।

মাটির পুতুলকে জীবন দিতে চেয়েছিলাম,
কুচকুচে কালো বেনারশি পরিয়ে, হোলির রঙে মুড়িয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে
সাজাতে চেয়েছিলাম পুতুলের গতর
জীবনের সবটুকু অর্জন তার পায়ে সঁপে নিজে নিঃস্ব হতে চেয়েছিলাম
চেয়েছিলাম, ভোরের সূর্য থেকে আলো ধার নিয়ে আলোকিত করতে তার বাগান
গোলাপের নির্যাসে কুস্তরি মিশিয়ে পরিয়ে দিতে তার চঞ্চুতে
কাঁশের ছাউনি দিয়ে গড়ে দিতে প্রেমমহল
সতীর্থের এমন মোহনীয় স্বর্ণালী ভবিষ্যে জ্বলে যায় পুতুলের রক্তের পার্টনার
বাধা হয়ে দাঁড়ায় হিমালয় হয়ে
কর্তৃত্ব ফলায়  নিজেকে বটবৃক্ষ  বনে..

তবু বেড়ে যায় পুতুলের প্রতি মাটির টান
মাটির পুতুল দিন শেষে মাটিতেই মিশে যায়।