চৌগাছা প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় বাল্য বিয়ে পড়ানোর দায় স্বীকার করে ভবিষ্যতে আর বাল্য বিয়ে না পড়ানোর শপথ করেছেন নিকাহ্ রেজিষ্টাররা (কাজী)।
মঙ্গলবার (৫জুলাই) দুপুরে উপজেলা কাজী সমিতি’র আয়োজনে চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধে নিকাহ্ রেজিষ্টারদের করণীয় বিষয়ক কর্মশালা’য় উপজেলার নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) এই শপথ করেন।
উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ উম্মে ছালমা আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন।
কর্মশালায় উঠে আসে চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার মাজহারুল ইসলাম (মান্নান), চৌগাছা সদর ইউনিয়নের মাওলানা রুহুল কুদ্দুস ও জগীদশপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার ইসরাইল হোসেন উপজেলায় সবচে বেশি বাল্যবিয়ে সম্পাদন করেন। সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টিতে তাঁরা বাল্যবিয়ের মূলহোতা। তাঁরা সকল প্রকার অপকৌশল প্রযয়োগ করে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করে থাকেন। এদের মধ্যে ফুলসারা ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলাম মান্নান অপ্রতিরোধ্য। কর্মশালায় উল্লেখিত দাগী/অপরাধী কাজীদেরকে সভার মধ্যে দাড় করিয়ে সকলের সামনে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করা হয়। এবং কঠোর ভাষায় সাবধান করা হয়। পরে অভিযুক্তরা তাঁদের দায় স্বীকার করেন এবং অভিষ্যতে আর কখনও বাল্য বিয়ে পড়াবেন না বলে শপথ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, তাঁদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তরা তাঁদের দায় স্বীকার করে নেন এবং উপজেলার সকল কাজী শপথ করেন ভবিষ্যতে তাঁরা আর বাল্য বিয়ে পড়াবেন না। তিনি বলেন, এরপরও কোন কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।