Type to search

অভয়নগরে মামলায় জেতার জন্য নি:শর্তবানদের দিয়ে বসতি স্থাপনের অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে মামলায় জেতার জন্য নি:শর্তবানদের দিয়ে বসতি স্থাপনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : মামলায় জেতার জন্য আদালতের কাছে জমি দখল দেখানো হচ্ছে নি:শর্তবান দুই স্বামী পরিত্যাক্তা পিসিদের দিয়ে। এমনি এক অভিযোগ উঠেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে এক হিন্দু পরিবারে।
তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের মনিশান্ত ধর দুই পুত্র রবীন্দ্র নাথ ধর, সবিন ধর ও কন্যা আরতি ধর ও সঞ্জু ধরকে রেখে মারা যায়।বর্তমানে দুই কন্যাই স্বামী পরিত্যাক্তা। তারা দুই বোনই দিন মজুরের কাজ করে এক সাথে বসবাস করেন।
হিন্দু ধর্ম আইনে পুত্র জীবিত থাকতে কন্যরা পিতার সম্পত্তির কোন অংশীদার হয় না। আরতি ধর ও সঞ্জু ধর সেই থেকে নি:শর্তবান হিসাবে পিতার জমিতে বসবাস করতেন।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সম্প্রতি তারা গ্রামের বাইরে উপজেলার বুইকারা মৌজায় অল্প কিছু জমি ক্রয় করে সেখানে বসতি স্থাপন করেছ্নে। বর্তমানে তারা সেখানে বসবাস করেন এবং আকিজ জুট মিলের শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাঝে মধ্যে পিতার বাড়িতে পুরাতন ঘরে উঠেন। তারা জানান, ভাইয়ের ছেলেরা দয়া করে যদি তাদের থাকতে দেন তবে পিতার ভিটায় থাকতে পারেন। অন্যথায় তারা থাকতে পারেন না।
মনিশান্ত ধরের এক পুত্র সবিন ধর প্রায় ত্রিশ বছর যাবত প্রতিবেশি দেশে ভারতে সববাস করছেন। তার সমুদয় সম্পত্তি এজমিলে আকারে ভাই রবীন্দ্র নাথ এর মৃত্যুর পর ভাইয়ের ছেলে রিপন ধর ও উত্তম ধর ভোগদখল করছেন।
দেড় বছর আগে সবিন ধর বাড়িতে বেড়াতে এসে তার সমুদয় সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভাইয়ের ছেলেদের গোপন করে ওই
জমির অংশীদার নয় প্রতিবেশী সুরেশ ধর এর মেয়ে কাজল ধর এর কাছে বিক্রি করেছেন। এতে ওই জমির প্রকৃত হকদার রিপন ধর ও উত্তম ধর বাদি হয়ে আদালতে হকনামা(আমানত) মামলা দায়ের করেছেন। মামলটি মোকাম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ যশোর এর প্রথম আদালতে চলমান রয়েছে। যার নং ১২০/ ১৯ তারিখ ১৯/০৯/২০১৯।
মামলার বাদি রিপন ধর জানান, ওই মামলায় জেতার জন্য কাজল কান্তি ধর কাকার কাছ থেকে ক্রয়কৃত জমি দখল দেখানোর জন্য কৌশল অবলম্বন করছেন। কাজল কান্তি ধর আমার নি:শর্তবান পিসিদের ডেকে এনে আমার ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমিতে বসতি স্থাপন করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে দূরে বেড়াতে গিয়েছিলো এই সুযোগে আমার পিসিদের টাকা পয়সা দিয়ে একটি দোচালা ঘর নির্মানের চেষ্টা করছিলো। আমরা বাড়ি এসে তা বন্ধ করে দিয়েছি।
কাজল কান্তি ধর(৪০) বেসরকারি সংস্থ্যা ব্রাকে কর্মরত আছেন। অনেক দূরে তার কর্মস্থল। মোবাইল ফোনে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘এ ব্যপারে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো’। এই বলে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন,‘ রিপন ধরদের সাথে তার পিসি আরতি ধর ও সঞ্জু ধর এর ঘর বাধা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিলো। আমি সেটা মিমাংসা করে তার পিসিদের নতুন ঘর না বেধে পূরাতন ঘরে থাকার কথা বলে দিয়েছি। উভয় পক্ষ তা মেনে নিয়েছে।