Type to search

অভয়নগরে পুত্রের লাথি ও কিল ঘুষিতে বৃদ্ধা মাতা গুরুতর আহত

জাতীয়

অভয়নগরে পুত্রের লাথি ও কিল ঘুষিতে বৃদ্ধা মাতা গুরুতর আহত

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স – পীরের খাদেম পুত্রের লাথি ও কিল ঘুষি তে বৃদ্ধা মাতা গুরুতর আহত হয়েছেন।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ওই বৃদ্ধা মাতার নাম ফতেমা বেগম(৬৫)। তার মেঝ ছেলে গফফার শিকদার(৪৫) কয়েক দিন আগে সীমানায় গাছ রোপন কে কেন্দ্র করে তার গর্ভধারিনী মাতাকে এভাবে আঘাত করে আহত করেছে।

আহত মাতাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লাথির আঘাতে বৃদ্ধার বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। সুস্থ হতে সময় লাগবে।

সংবাদ পেয়ে শনিবার(২০-৭-১৯) বৃদ্ধাকে দেখতে পোতপাড়া গ্রামে যাই। দেখলাম  তিনি ছোট ছেলে আবুবক্কর শিকদার(৩৫) এর ঘরের বারান্দয় মটিতে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। সাক্ষাত কালে তিনি জানান, ঘটনার দিন ছোট ছেলের বাড়ির সীমানায় কচা গাছ রোপন করছিলেন। এমন সময় তার মেঝ ছেলে গফ্ফার শিকদার সামনের  দিক থেকে এসে বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে কিল -ঘুষি মারতে থাকে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলেন।  হাসপাতালে নেয়ার পর জ্ঞান আসে। তিনি ছেলের শাস্তি দাবি করেছেন।

ফতেমা বেগমের ছোট ছেলে, আবু বক্কর শিকদার বলেন, আমার মেঝ ভাই গফ্ফার শিকদার খারাপ লোক। সে উপজেলার গাজীপুর পীরের খামেদ ছিলো।  মাছ চুরির অভিযোগে সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়। তার সাথে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। মেঝ ভাই তার পিতার মৃত্যুর আগে তঞ্চকতা করে পিতার কাছ থেকে দুই বিঘা জমি লিখে নিয়েছে।  পিতার সাড়ে তিন বিঘা জমি ছিলো সে আমাকে ও আমার বড়  ভাই ফাকি দিয়ে সকল জমি নিজে ভোগ দখল করেছে। আমার মাকে মারার সাত দিন পর বিধবা বোনকে রাস্তা থেকে ধরে নিজ ঘরে আটকিয়ে মারধর করছিলো। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে বোনকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সব ঘটনায় তিনি (আবু বক্কর) থানায় অভিযোগ করেছেন।

এদিকে গফ্ফার শিকদার তার মেয়েকে শাবলের আঘাতে আহত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সে মা ও ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় অভিযোগ করেছে। প্রতক্ষ দর্শি এজন মহিলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গফ্ফার শিকদার শাবল দিয়ে তার মেয়েকে আঘাত করেছিলো। এতে তার মেয়ের মাথা থেকে সামান্য রক্ত ঝরে। পরে সে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, অভিযোগ পেয়ে  আমি তদন্তে গিয়েছিলাম।  আহত ফতেমা বেগম আমাকে বলেছেন, তার মেঝ ছেলে তাকে লাথি ও কিল ঘুষি মেরে তাকে আহত করেছে। এ ঘটনায় তিনি তার ছেলের শাস্তি দাবি করেছেন।

মা কে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে আহত করার ঘটনায় প্রতিবেশিরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। ঘটনার তথ্য সরবরাহ কালে শতাধিক প্রতিবেশিরা জড়ো হয়ে গফ্ফার শিকদারের শাস্তি দাবি করেছেন। এ দিকে অবস্থা বেগতিক দেখে গফ্ফার ও তার পরিবার বাড়ি ফেলে পালিয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা কওে ও তাদেও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।