Type to search

বেনাহাটীর সেই ইউপি সদস্য নির্মল গুপ্তের বিরুদ্ধে জমি জোর-দখলের চেষ্টায় জমি পরিমাপের অভিযোগ পুলিশ সুপারের দপ্তরে

অপরাধ

বেনাহাটীর সেই ইউপি সদস্য নির্মল গুপ্তের বিরুদ্ধে জমি জোর-দখলের চেষ্টায় জমি পরিমাপের অভিযোগ পুলিশ সুপারের দপ্তরে

 

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটীর ৫নং ইউপি সদস্য আলোচিত সেই ইউপি সদস্য নির্মল গুপ্তের বিরুদ্ধে জমি জোর-দখলের চেষ্টায় জমি পরিমাপের অভিযোগ পুলিশ সুপারের দপ্তরে দিয়েছেন একই গ্রামের সুকান্ত দত্ত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে লিখিত অভিযোগ দেন।

সুকান্ত দত্ত বলেন, আমিসহ আমার চার ভাইয়ের দলিলকৃত জমি তুলরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ইউপি সদস্য নির্মল গুপ্ত জোর-দখলের চেষ্টায় উক্ত জমি পরিমাপ করবে বলে জানিয়ে আমাদের বাড়িতে ১৮/০১/২০২৪ ইং. তারিখ বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে একই পাড়ার সন্টু বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জিব বিশ্বাসকে পাঠায়। যে আগামীকাল শুক্রবার ১৯/০১/২০২৪ তারিখ সকালে আমাদের নামে দলিলকৃত এবং ভোগদখলকৃত নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন ৮০নং বেনাহাটী মৌজার এস.এ খতিয়ান নং- ৫১৯, আর.এস খতিয়ান নং- ৪, ২০৪/১, ১৭৬ নং এর সেঃ মেঃ দাগ নং- ২৫৯ এ জমির পরিমাণ .৬৫ শতক এবং আর.এস দাগ নং- ৭৪২ দাগের .৩৯ শতক, ৭৪৩ দাগের .০৪ শতক, ৭৪৪ দাগের .২২ শতক জমির মধ্যে মোট নালিশী ০৪.০০ শতক মাত্র জমি পরিমাপ করবে বলে জানায় এবং সেই সাথে হুমকি প্রদর্শন করে। উক্ত জমি নিয়ে নড়াইল বিজ্ঞ আদালতে মামলা (এলএসটি) চলমান। তারপরও অভিযুক্ত বিজ্ঞ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করে উক্ত জমি পরিমাপের নাটক সাজিয়ে দখলের পায়তারা করছে। উক্ত জমি পরিমাপকালে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টেরও আশংকা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য একজন ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক। ইতোপূর্বে সে অনেকের জমি এভাবেই কব্জা করেছে মর্মে থানায় অভিযোগসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবগত আছেন। উক্ত জমিতে বিজ্ঞ আদালতের মামলা (এলএসটি) চলমান আছে জেনেও সে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে লাঠিসোটাসহ একটি বাহিনী প্রস্তুত করে রেখেছে। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়টি সমাধানকল্পে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বিষয়টি জানার জন্য ইউপি সদস্য নির্মল গুপ্তর সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব যাতে কোনরকম আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসান বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সদর থানা ওসিকে বলে দিয়েছি বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।