Type to search

দেশে অক্সিজেনের উৎপাদন আর চাহিদা সমান সমান

অর্থনীতি জাতীয়

দেশে অক্সিজেনের উৎপাদন আর চাহিদা সমান সমান

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : চাহিদা বাড়লে বাড়তি অক্সিজেনের যোগান দিতে পারবে না প্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশে অক্সিজেনের চাহিদা আর উৎপাদন এখন সমান সমান। অর্থাৎ চাহিদা আরো বাড়লে, বাড়তি অক্সিজেনের যোগান দিতে পারবে না প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও বাড়তি অক্সিজেনের সরবরাহ পেতে, ছোট ছোট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার।

তিন সপ্তাহ আগে থেকেই শিল্পখাতের অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এখানকার উৎপাদিত অক্সিজেনের শতভাগই যাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

দেশে মেডিকেল অক্সিজেনের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তিনটি। এরমধ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করে লিন্ডে বাংলাদেশ ও স্পেকট্রা অক্সিজেন। আর ইসলাম অক্সিজেন শুধু বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করে।

করোনা সংক্রমণের আগে স্বাস্থ্যখাতে অক্সিজেনের চাহিদা ছিলো দিনে ১০০ থেকে ১২০ টন। এপ্রিলের শুরুতে তা বেড়ে যায় ১৮০ টনে। তবে এখন কিছুটা কমে চাহিদা ১৪০ থেকে ১৫০ টনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশ সরবরাহ করছে ৯০ টন, স্প্রেকটা সাড়ে ২৪ আর ইসলাম অক্সিজেন ৪০ টনের যোগান দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে এরচেয়ে বেশি উৎপাদন আপাতত সম্ভব নয়। আর ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দেশীয় উৎস ছাড়া অন্য উপায়ও নেই।

লিন্ডে বিডি’র মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক সাইকা মাজেদ বলেন, ‘বর্তমানে যা উৎপাদন হচ্ছে তাই সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে তার যোগান দেয়া কষ্টসাধ্য হবে। বর্তমানে ভারত থেকেও অক্সিজেন আনা সম্ভব না।’

অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়াতে নতুন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসলাম অক্সিজেন। তবে তাতে সময় লাগবে অন্তত এক বছর।

ইসলাম অক্সিজেন এর সিইও মুস্তাইন বিল্লাহ জানান, এটি একটি বড় প্রজেক্ট এতে অন্তত বছরখানেক সময় প্রয়োজন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গ্যাস সংযোগের আবেদন করা হয়েছে কিন্তু সে অনুমোদন এখনও মেলেনি।

যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অক্সিজেনের উৎপাদন ব্যাহত হবে না।

অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের সাময়িক অনুমোদন পেয়েছে আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড, ইউনিয়ন অক্সিজেন এবং এ কে অক্সিজেন লিমিটেড।

সূত্র,ডিবিসি নিউজ