Type to search

চৌগাছায় রোজা রেখে কৃষকের ধান কেটে ও বেঁধে দিল ছাত্রলীগ

চৌগাছা

চৌগাছায় রোজা রেখে কৃষকের ধান কেটে ও বেঁধে দিল ছাত্রলীগ

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় মহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষকের প্রায় দু’বিঘা জমির ধান কেটে ও প্রায় এক বিঘা জমির কেটে রাখা ধান বেধে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শ্রমিক সংকটের এই সময়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তার ধান কেটে ও বেঁধে দেয়ায় খুবই খুশি হয়েছেন কৃষক মহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চাকলা গ্রামের করিম মন্ডলের ছেলে মহিদুল ইসলাম নামের ওই কৃষকের ধান কেটে দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইনের নেতৃত্বে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজলা ছাত্রলীগ নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের করিম মন্ডলের ছেলে মহিদুল ইসলামের প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কেটে এবং প্রায় এক বিঘা জমির ধান বেধে দিয়েছে চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইনের নেতৃত্বে চৌগাছা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আকরামুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক জিহাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হাসান রেজা, পৌর ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ রহমান বিপুল, পাশাপোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন, হাকিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ইয়াসিন আরাফাত, যুগ্ম আহবায়ক আবির মাহমুদ পলক, রাজন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুর রহমান জিসাদ, পাভেল হোসেন, আক্তারুল ইসলাম, মিরাজ, নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন, অন্তু, ফুলসারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাসুম হোসেন, হাফিজুর রহমান, মিসান আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হাসান শান্ত, রাসেদ হোসেনসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৩০/৩৫জন নেতাকর্মী এই ধান কাটা ও বাধা কাজে অংশ নেন। ছাত্রলীগ নেতারা জানান ‘তাদের মধ্যে অনেকেই রোজা রেখেছিলেন। ধান কাটা ও বেঁধে দেয়া কাজে কৃষক মহিদুল খুবই খুশি হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের তার বাড়িতে নিয়ে যান। এবং যারা রোজা ছিলেন না তাদের জোর করে নাস্তাও করান।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন বলেন ‘ছাত্রলীগ মানেই মানবিক কাজ, ছাত্রলীগ মানেই মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো, ছাত্রলীগ মানেই প্রাকৃতিক দূর্যোগে উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। গত বছর উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নতৃবৃন্দ কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে, বেধে এবং ঝেড়ে বাড়িতে পৌছে দিয়েছিলাম। এ বছরেও কেন্দ্রীয় ও জেলার নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই আমরা মাঠে নেমেছি। আগামীতেও ছাত্রলীগ এভাবেই কৃষকের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রয়েছে। রোজা থেকে প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়ও তারা নেতৃবৃন্দের আহবানে কৃষকদের ধান কেটে ও বেধে দেয়া কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।
মোবাইল ফোনে কৃষক মহিদুল ইসলাম জানান, আমি এবছর আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। এর মধ্যে প্রায় একবিঘা জমির ধান কাটা ছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ছাত্রলীগের প্রায় ৩০/৩৫ জন ছেলে এসে আমার সে ধান বেঁধে দিয়েছে এবং প্রায় দু’ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে। তিনি বলেন এই শ্রমিক সংকটের সময়ে এভাবে ধান কেটে ও বেঁধে দেয়াতে আমার খুবই উপকার হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি হয়েছি।