Type to search

৫৪৩ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরেও অনিশ্চয়তায় ভবদহ আঞ্চলের শিক্ষার্থী 

জেলার সংবাদ যশোর

৫৪৩ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরেও অনিশ্চয়তায় ভবদহ আঞ্চলের শিক্ষার্থী 

 

প্রিয়ব্রত ধর: ভবদহের জলাবদ্ধতায় বেশি ক্ষতি গ্রস্থ যশোর অভয়নগর,মনিরামপুর উপজেলার বেশির ভাগ গ্রাম। সাম্প্রতিক সমায়ে অত্র এলাকার অনেক বাড়ির উঠানে এখনো পানিতে নিমজ্জিত। ১৯ সেপ্টেম্বর রাতের বর্ষায় স্কুল,কলেজ,মন্দির,মসজিদ ও অনেক রাস্তাঘাট পানির নিচে।
 দীর্ঘ  দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলার পরও অত্র অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীরা অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে। পারছে না মন খুলে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে। কারণ তাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠটি পানিতে ডুবে আছে,পারছে না সহপাঠিদের সাথে খেলতে,এমনকী কোন কোন প্রতিষ্ঠানের মেঝেতে ও পানি ওঠার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কারণ জানতে চাইলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী জানান এত দিন বাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে আমরা মন খুলে চলতে পারছি না,আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠ জুড়ে হাটু পানি,ক্লাসের ফাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই, আকাশে মেঘ জমলে মনে ভয় হয়, না জানি আবার আমার প্রতিষ্ঠান বন্দ হয়ে যায়।এমন অবস্থাতে দিন পার করছে ২৭টি গ্রামের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী।
সরজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত কোমর সমান পানি,ছাত্র ছাত্রীরা পানির মধ্য দিয়ে তাদের বিদ্যালয় আঙ্গিনা পার করছে। কেও বা নৌকাতে।
অত্র এলাকার মশিয়াহাটি উচ্চ বিদ্যালয়,বাজে কুলটিয়া জুনিয়ার হাই স্কুল,ডহর মশিয়াহাটি জুনিয়ার স্কুলের মাঠে তো  ঝতি মত কোমন সমান পানি।
একটু অসাবধানে পড়তে হচ্ছে পানিতে।
প্রভাষক কানু বিশ্বাস জানান এলাকার বেশির ভাগ বিদ্যায়য়ের মাঠ পানির নিচে,অল্প বৃষ্টিতে সে পানি শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করবে। ডুমুরতলা গ্রামের শিক্ষক শিবপদ বিশ্বাস জানান আমাদের অনেক ছেলে মেয়ে দুটি ড্রেজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসে,বিদ্যালয় পানি ও রাস্তাতে পানি থাকায় তাদের এ ব্যবস্থা। দ্রুত জলাবদ্ধতার সমাধান না করতে পারলে প্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত হবে,তখন পাঠদান বন্দ ছাড়া উপায় থাকবে না।
ছবি: গত রাতের বৃষ্টিতে সুন্দলী এস টি স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।