Type to search

স্ত্রীকে বোন সাজিয়ে জমি জালিয়াতি

অভয়নগর

স্ত্রীকে বোন সাজিয়ে জমি জালিয়াতি

স্ত্রীকে বোন সাজিয়ে জমি জালিয়াতি অভয়নগরে বোনের জমি জালদলিল করে হাতিয়ে নিলো ভাই
নওয়াপাড়া অফিস
স্ত্রীকে বোন সাজিয়ে আপন বোনের জমি জাল দলিল করে ভোগদখলে নিয়েছে ভাই। ওই জালিয়াতকারির নাম আবু সিদ্দিক গাজী(৭০) তিনি অভয়নগর উপজেলার সাভারপাড়া গ্রামের মোজাম আলী গাজীর ছেলে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগি ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতি ওই জমি সাভারপাড়া মৌজায় অবস্থিত। যার আরএস খতিয়ান নং২৮৩ এর ২৬০৮,২৬২৩,২৭১৪ দাগ মিলে মোট ১৩.৯১ শতাংশ জমি গত ১২/১২/২০১৯ খ্রি. তারিখে ৬৮৭১ নং হেবা দলিল মুলে রেজিস্ট্রি হয়। ওই জমির দলিল গ্রহীতা মো: সিদ্দিক গাজী এবং দাতা জাহানারা খাতুন। দাতা গ্রহীতা আপন ভাই বোন। দাতা উপজেলার অভয়নগর গ্রামে বসবাস করেন আর গ্রহীতা সাভারপাড়া গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করেন।
ভুক্তভোগি জাহানারা খাতুন(৭২) জানান, পিতার মৃত্যূর পর ওয়ারেশ সূত্রে তিনি ওই জমি প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করছেন। তিনি দুই মাস আগে ওই জমির খাজনা পরিশোধ করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যেয়ে দেখেন তার অংশের জমি ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে। পরে তিনি খোঁজনিয়ে জানতে পারেন তার ভাই জাল দলিল করে ওই জমি রেজিসিট্র করে নিয়েছেন।
জাহানার খাতুনের ছেলে সিরাজ হোসেন জানান, তার মা জমি বিক্রি করেনি, মামা সিদ্দিক গাজী তার স্ত্রী (আমার মামীকে) বোন সাজিয়ে আমার মায়ের জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে দুই মাস আগে থানায় বসে একটি সালীশ মিমাংসা হয়। সালীশে ওই জমির মূল্য বাবাদ আমাদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমার মামা তা মানেনি। যে করনে আমরা আদালতে মামলা করেছি।
ওই জমির দলিল লেখক ও সনাক্তকরি উপজেলার সাভারপাড়া গ্রামের মো: বনি আমিন। তিনি দলিলের ২০ নং ধারায় লিখেছেন হস্তাœরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মূল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারি অত্র দলিল মুসাবিদা করিয়াছি/ লিখিয়াছি এবং পক্ষগণকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনি আমিন বলেন, ‘আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। দাতা কে আমি চিনি না। কেউ দাতা সেজে দলিলে স্বাক্ষর করলে তাকে যাচাই বাছাই কররা দায়িত্ব সাব রেজিষ্ট্রারের। এ ব্যাপারে আমার কোন কর্তব্য নেই। সাবরেজিষ্ট্রার সবকিছু যাচাই করে জমি রেজিস্ট্রি করেন।’
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অজয় কুমার সাহা বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। ঘটনাটি আমার পূর্বের সাবরেজিস্টারের সময়ে ঘটেছে। দলিল লেখক ও সনাক্তকারি এ ব্যাপারে প্রধানত দায়ী।’
এ ব্যপারে অভিযুক্ত আবু সিদ্দীক গাজীর সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।