মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোর ৫টা। ভৈরব সেতুর পারে উৎসুক জনতার ভিড়। সবার মনে শঙ্কাও কম নয়! পল্লী চিকৎসক বকুল নাকি সাঁতরে পাড়ি দেবেন ৪২ কিলোমিটার পথ। ভৈরব সেতু থেকে নরসিংদীর রায়পুরার মণিপুরা যাবেন তিনি!
যথাসময়ে মেঘনায় সাঁতার শুরু করেন বকুল। বিরতিহীন সাঁতার কেটে দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরার মণিপুরা খেয়াঘাটে ঠিকই পৌঁছান এই সাঁতারু।
১৯৯৫ সালে প্রবাস জীবনে থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে টানা ১৮ ঘণ্টার সাঁতরে সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন বকুল।
বকুলের বাড়ি নরসিংদী সদরের আলোকবালী ইউনিয়নে। বাবা সিদ্দিকুর রহমান ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক। তারই অনুপ্রেরণা আর প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে তার এমন অভিযাত্রা।
নৌকা নিয়ে বকুলের নিরাপত্তায় ছিলেন সেচ্ছাসেবকরা। একে একে নানা বন্দর ঘাট পেরিয়ে ঠিকই পৌঁছে গেছেন কাঙ্খিত লক্ষ্যে। এ যাত্রায় সময় নিয়েছেন প্রায় ৭ ঘণ্টা। সিক্ত হয়েছেন উৎসুক জনতার শুভেচ্ছা আর ভালবাসায়।
অভিজ্ঞ এই সাতারু জানান, দেশ-বিদেশের অনেকের চেয়েই বেশি সাতার কাটতে পারেন তিনি। এখন গিনেজ বুকে নাম লেখানোর স্বপ্ন তার।
বকুল সিদ্দিকী বলেন, ‘এমন একটি রেকর্ড গড়তে চাই সাঁতারে যেন দ্বিতীয় কেউ এই রেকর্ড ভাঙতে না পারে। এটিই আমার মূল লক্ষ্য।’
দুঃসাধ্য এই কাজটি কিন্তু ঘরে বসেই হয়নি। অনুশীলন আর স্থানীয় প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ বড় শক্তি ছিলো বকুল সিদ্দিকীর। এখন স্বপ্ন পূরণের পথেই এগিয়ে যাবার পালা।সূত্র,ডিবিসি নিউজ