Type to search

দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিলো অবিচল

জাতীয়

দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিলো অবিচল

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুকে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। ডানপন্থী, উগ্রবামপন্থী, মুসলিম লীগসহ মৌলবাদীরা মিলেই বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলো। কিন্ত জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন আর যাই হোক, কোন বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারবে না। অথচ আগস্টের চৌদ্দ তারিখ পর্যন্ত যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তাকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের অনেকেরই জড়িত ছিলেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

বঙ্গবন্ধু সবসময় চিন্তা করতেন দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে। যুদ্ধ্ববিধ্বস্ত দেশকে কিভাবে গড়ে তুলতে হবে, কিভাবে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে তা নিয়ে নানামুখী পরিকল্পনা করতেন জাতির পিতা।

মাত্র সাড়ে তিনব ছর ক্ষমতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু স্বাধীনতার পর কখনই শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারেননি তিনি। ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে যেমন দেশের মানুষ ছিলো, তেমনি ছিল বিদেশি অপশক্তিও। এরমধ্যেই তিনি আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করলেন। ডাক দিলেন দ্বিতীয় বিপ্লবের।

শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষকে তিনি দেখা করার জন্য  সময় দিতেন। ফেরাতেন না কাউকেই। এসব সাক্ষাৎ যেমন গণভবনে হত তেমনি হতো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে।

পচাত্তরের ৪ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন পাকিস্তানফেরত সেনা কর্মকর্তা মাজেদুল হক। ঢাকায় আসার আগের দিনও তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যিনি  জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।

বিকাল সাড়ে ৫টায় মোয়াজ্জেম আহমদ চৌধুরী, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কৃষক লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রহমত আলী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রহমত আলী মোশতাকের স্বনির্ভর বাংলাদেশ কর্মসূচির কর্ণধার ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মস্কোতে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শামসুল হক সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *