Type to search

যশোরে একদিনে রেকর্ড ৪৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত

যশোর

যশোরে একদিনে রেকর্ড ৪৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: যশোরে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও করোনা সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। যশোরে একদিনে রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে, কমেছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ। এটিই জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের ঘটনা। করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৮৭ জনের। মারা গেছেন ১২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮৮৮ জন।

শনিবার (২৬ জুন) যশোর জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

যশোর সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতাল কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় যশোর যবিপ্রবি ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯৫১ জনের নমুনা পিসিআর ল্যবের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার সংক্রমণের হার ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গে ৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২ জন মারা গেছে। যশোরে বর্তমানে তিন হাজার ৫৮৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড যশোর জেনারেল হাসপাতালে মাত্র ৭৯ জন ও অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৫২ জন। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শয্যা বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চাপ কমেনি। গত ১০ দিন ধরে একই রকম অবস্থা। প্রতিদিনই হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়োলো জোনে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীর চাপ কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না।

এদিকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যশোরে টানা তিন সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। গত ৯ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা করা। এতে সংক্রমণ না কমায় গোটা জেলাজুড়ে আরো সাতদিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিধিনিষেধের ১৭তম দিনেও সংক্রমণের গতি কমেনি বরং বেড়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, যশোরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন গ্রাম পর্যায়েও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণের এখন পিক বা ঊর্ধ্বগতির সময় চলছে। যে কারণে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। সংক্রমণ কমতে সময় লাগবে। তবে লকডাউন বা বিধিনিষেধসহ স্বাস্থবিধি প্রতিপালন করে যেতে হবে।

সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম