Type to search

মণিরামপুরে বীজতলা নিয়ে হতাশায় রয়েছে বোরো চাষীরা

যশোর

মণিরামপুরে বীজতলা নিয়ে হতাশায় রয়েছে বোরো চাষীরা

জি এম ফারুক আলম মণিরামপুর (যশোর) থেকে-:
ঘণকুয়াশা এবং মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বীজতলা নিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে মণিরামপুরের বোরো চাষিরা। এ বছর কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বীজতলায় ধানের চারা মারা যাচ্ছে। যে কারণে বোরো চাষ নিয়ে আশংকায় রয়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার বোরো চাষ করতে ১ হাজার ৯’শ ৪০ হেক্টর জমিতে বীজ তলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫’শ ২০ হেক্টর হাইব্রীড এবং উপসি জাতের ১৪’শ ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বীজ তলা গুলোর অধিকাংশই ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোন কোন মাঠে ক্ষতির পরিমাণ বেশি এবং কোন কোন মাঠে বীজতলা ক্ষতি হয়েছে আংশিক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানিয়েছেন, কিছু কিছু বীজতলায় ক্লোড ইঞ্জুরি হয়েছে যা চাষির অসচেনতার কারণে। তিনি জানিয়েছেন, ক্লোড ইঞ্জুরি ঠেকাতে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রতি বিকেলে বীজতলাতে গরম পানি দিতে। যে চাষিগুলো পরামর্শ অনুস্বরণ করছেন সেখানে বীজতলায় ক্ষতি নেই। ঢাকুরিয়া এলাকার চাষি নওশের আলী জানিয়েছেন, তার বীজতলার ৭৫% ধানের চারা শীতের কারণে মারা গেছে।
পাতন গ্রামের চাষি মৌলভী আবুল হোসেন জানিয়েছেন, আমার বীজতলায় কোন ক্ষতি না হলেও আমার মাঠের অনেক বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। লক্ষণপুর গ্রামের চাষি আব্দুল আজিজ সরদার তিনিও একই দাবী করেছেন। গলদা গ্রামের মোশাররফ ও খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে বীজ তলার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় এ বছর বোরো আবাদ করতে ২৮ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে বীজতলায় কোন ক্ষতি না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
উপজেলার সবচাইতে বোরো আবাদ করা হয় রোহিতা, খেদাপাড়া, ঢাকুরিয়া, শ্যামকুড়, হরিহরণগর, মশ্মিমনগর এবং চালুয়াহাটি ইউনিয়নে। রোহিতা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুহিন কুমার বিশ্বাস এবং খেদাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, ক্লোড ইঞ্জুরি ঠেকাতে চাষিদের বীজতলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।