Type to search

বরিশাল সদর ইউএনওর বাসভবনে হামলা, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

জেলার সংবাদ

বরিশাল সদর ইউএনওর বাসভবনে হামলা, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: সরকারি বাসভবনে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান।

সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার, পোষ্টার অপসারণ নিয়ে বুধবার রাত ১০টা থেকে রণক্ষেত্রে পরিনত হয় ঐ এলাকা। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। মধ্যরাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভাগীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা বলেছেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনিবুর রহমান দাবি করেন, কে বা কারা রাতে অনুমতি ছাড়াই উপজেলা চত্ত্বরে ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড ছেড়ার চেষ্টা করে। এসময় ইউএনও তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ৫০, ৬০ জন লোকজন এসে তার ওপর হামলা চালায়।

বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনিবুর রহমান বলেন, শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও আশপাশে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়েছিল। রাতে সিটি করপোরেশনের লোকজনকে নিয়ে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে আসেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আমার বাসভবন সংরক্ষিত এলাকায় হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে এগুলো সরানোর অনুরোধ করলে গালিগালাজ শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে আমার বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে আনসার সদস্যরা বাধা দিলে হামলা চালান। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পুলিশ এসে একজনকে আটক এবং লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ হয়। পরে আবার জোটবেঁধে হামলা চালান। তখন গুলি চালানো ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন।

আর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে রাতে অবৈধ পোষ্টার, ব্যানার অপসারণ করতে গিয়েছিলেন নগর ভবনের কর্মীরা।  ইউএনওর ওপর হামলা করেননি। অকারণে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে আনসার বাহিনী।

রাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, সদর উপজেলা চত্ত্বরসহ আশপাশের এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ- র‌্যাব লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে নেতাকর্মীদের। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশ, আনসার সদস্যসহ আহত হন অর্ধশতাধিক।

মধ্যরাতে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন স্থানীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিরা।

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে যে বা যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাঙ্গামা অবস্থায় আমরা দেখেছি। এখানে আনসার সদস্য যারা ছিলেন, তারাও খুবই আহত হয়েছেন। সার্বিকভাবে এখানকার পরিস্থিতি খারাপ। তাই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ছত্রভঙ্গ করি।

অন্যদিকে, সিটি মেয়রের দাবি, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লক্ষ্য করেও গুলি করা হয়। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, সিটি করপোরেশন একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান। উনার বাসায় কেন হামলা চালাবে? তার সঙ্গে কি ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা আছে? বাধা তো দিয়েছেন তিনি! এটা আসলে সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।সূত্র,ডিবিসি নিউজ