Type to search

ঝিকরগাছার গদখালীতে আমড়া গাছের ডাল কাটা নিয়ে প্রতিবেশীর বিবাদে এক বয়স্ক নারী আহত

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছার গদখালীতে আমড়া গাছের ডাল কাটা নিয়ে প্রতিবেশীর বিবাদে এক বয়স্ক নারী আহত

 

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের সদিরালী (কালী মন্দির সংলগ্ন) গ্রামে আমড়া গাছের ডাল কাটা নিয়ে প্রতিবেশীর বিবাদে জরিনা বেগম (৪৮) নামের এক বয়স্ক নারী আহত হয়েছে। জরিনা বেগমের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৭) বাদি হয়ে ২জনকে আসামী করে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন একই গ্রামের মৃত শুকুমার আলী কালুর ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৫)।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদি ও বিবাদীরা একে অপারের প্রতিবেশী। বিবাদীরা খুবই খারাপ ও উশৃংখল প্রকৃতির লোক। বাদির বসতবাড়ির পূর্ব পাশে নিজ জমিতে একটি আমড়াগাছ রয়েছে। গাছ নিয়ে বিবাদীগণ বাদির পরিবারের সাথে বিভিন্ন সময় ঝগড়াঝাটি ও মারপিঠ করার হুমকি দেয়। যার কারণে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) অনুমান বিকাল সাড়ে ৫টার সময় ২ নং আসামী বাদির বাড়ির সামনে এসে তার মাকে আমড়াগাছটি কেটে নিতে বলে। তখন তার মা ২নং আসামীর নিকট কারণ চাইলে ২নং আসামী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ উক্ত গাছের ডাল কাটিতে থাকে। তখন বাদির মায়ের ডাক চিৎকারে বাদির স্ত্রী উর্মিলা @ নদি (২০) এসে ২নং আসামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীগণ একত্রে পরিকল্পিত ভাবে লাঠি সজ্জায় সজ্জিত হয়ে বসতবাড়িতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদির মায়ের পিঠের উপরে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে ২নং আসামীর হাতে থাকা আমড়া গাছের ডাল দিয়ে বাদির মায়ের মুখের উপরে বাড়ি মারলে মুখের উপর লাগিয়া ২টি দাত ফাটিয়া মুখে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। যার কারণে বাদির মা মাটিতে পরে গেলে ১নং আসামীসহ ২ন্যং আসামী বাদির মাকে এলোপাতাড়ি মারপিঠ করতে থাকে। তখন বাদির মাকে ঠেকাতে গেলে ১নং বিবাদী বাদির স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দোবাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম হয়। বর্তমানে বাদির মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘটনার বিষয়ে রাতেই থানায় একটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে বাদির মা জরিনা বেগম জানান, আমি একজন অসহায় মানুষ বলে আসামীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। থানায় আমার ছেলে লিখিত এজাহার দেওয়ার পরেও কিছু হল না। বর্তমানে আমার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। না জানি কখন আবারও তারা আমাদের উপর আবারও হামলা করে। আমার কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমি আপনাদের দ্বারা আমাদের উপর ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
মামলার ১নং বিবাদী আলমগীর হোসেন বলেন, তারা সুপারী গাছের একটা ছেলেকে তুলে দিয়েছিলো। সেই ছেলে আমড়া গাছ থেকে একটা ছোট ডাল ভেঙ্গে নিচে ফেলে। সেটা নিচে থেকে উঠে গিয়ে তার মুখে লেগে কেটে যায়। আমরা তাকে মারিনি।
লিখিত এজাাহারের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) বখতিয়ার বলেন, উভয় পক্ষকে আগামীকাল ডেকেছি। তারা আসলে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো। না আসলে বা মিমাংসা না হলে তাদরে বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের দারাস্ত হবো।