Type to search

ঝিকরগাছার শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্য দিতে অস্বিকার : প্রধান শিক্ষকের খুটির জোর কোথায় !

শিক্ষা

ঝিকরগাছার শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্য দিতে অস্বিকার : প্রধান শিক্ষকের খুটির জোর কোথায় !

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা। উক্ত নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক ১১ মার্চ, উমাশিঅ/ঝিকর/২০২৪/৬৭ নং স্মারকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সদস্য নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সকল সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তবে ২০ মার্চ সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পূর্বের প্রতিবেদন ঘষামাজা করে প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারকে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে পূর্বে তারিখ বা বেক ডেট অনুযায়ী আবারও প্রতিবেদন দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নড়েচড়ে বসে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালিয়েছেন। আবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারের বক্তব্যে পাওয়া যায়, নগদ ৪১হাজার টাকা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা টাকা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে ৪১হাজার টাকার উপরে খরচ হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক সম্পূর্ণ খরচের হিসাবের মাস্টার রুল দেখতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে তথ্য দিতে অস্বিকার করেন। নির্বাচনে ১০জনের নিকট হতে মাথা প্রতি নমিনেশন বিক্রয় করা ১হাজার টাকার বিনিময়ে। তাহলে বিদ্যালয় থেকে নির্বাচন কেন্দ্রিক ৪১হাজার টাকার উপরে খরচ করা হল সেটার তথ্য প্রধান শিক্ষক যে সংবাদকর্মীদের তথ্য দিতে অস্বিকার করছে এই প্রধান শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায় ! তিনি বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য থাকারপরও ছুটির লিখিত আবেদন ব্যতীত সভাপতির সাথে আতাত করে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার বলেন, যারা ম্যানেজিং কমিটিতে আছে তাদের নিকট তথ্য আছে। আপনাদের কে আর কোন তথ্য দেওয়া হবে না। তথ্য পেতে হলে কমিটির লোকদের সাথে যোগাযোগ করেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. আঃ ছাত্তার বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সকল খরচ করেছেন প্রধান শিক্ষক। আমি কোন টাকা খরচ করেনি। প্রধান শিক্ষক সংবাদকর্মীদের তথ্য দিতে চাচ্ছে না এই সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি যেহেতু সব খরচ করেছেন। তাহলে তিনি কি জন্য আপনাদেরকে তথ্য দেবে না। তার তো আপনাদের সকল তথ্য দেওয়া উচিৎ।