কেশবপুরের মেয়রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: চাঁদাবাজি, ব্যাংকের চেক ছিনতাই ও জোরপূর্বক নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শিমুল মঙ্গলবার মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআই-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মেয়র রফিকুল ইসলাম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজীব খান, আব্দুল লতিফের ছেলে জুয়েল হোসেন, গনি শেখের ছেলে জামাল শেখ, নজরুল ইসলামের ছেলে বাপ্পী, আব্দুল আজিজ মোড়লের ছেলে মাহাবুবুর রহমান জুয়েল ও ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের রহিম মোড়লের ছেলে আরিফুর রহমান ।
মামলায় মিজানুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কেশবপুর বাজারে ‘আল্লাহর দান’ নামে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে। আসামিরা বিভিন্ন সময় তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে কেশবপুর বাজারে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া এবং খুনের হুমকি দেন। কিন্তু তিনি হুমকি উপেক্ষা করে ব্যবসা চালু রাখায় আসামি রাজীব খান তাকে দুই লাখ টাকা নিয়ে মেয়র রফিকুল ইসলামের সাথে দেখা করতে বলেন। মেয়র রফিকুল ইসলামের সাথে দেখা না করা এবং দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। গত ২৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিজানুর রহমানের ফার্মেসিতে হামলা চালান আসামি রাজীব খান, জুয়েল হোসেন, জামাল শেখ, মাহাবুবুর রহমান জুয়েল ও বাপ্পী। এরপর তাকে মারধর করে ক্যাশবাক্স থেকে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। আসামি মাহাবুবুর রহমান জুয়েল ফার্মেসির ড্রয়ারে থাকা সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার চেক বইয়ের তিনটি ব্লাঙ্ক পাতা জোরপূর্বক নিয়ে নেন। মোটরসাইকেল ও চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। এছাড়া জুয়েল হোসেন বাদীর গলায় রামদা ধরে তিনটি একশ’ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। একপর্যায়ে মিজানুর রহমানের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা চলে যান। যাওয়ার আগে তারা চাঁদার ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। আর বাকি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল, ব্লাঙ্ক চেক ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ফেরত আনার জন্য মিজানুর রহমানকে বলে যান।সূত্র,সুবর্ণভূমি