Type to search

অভয়নগরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামতে যাচ্ছে

অভয়নগর

অভয়নগরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামতে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: অভয়নগরে করোনা রোগের সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামতে যাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এ উপজেলায় রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শতজন ছাড়িয়ে ছিলো। যশোর জেলার মধ্যে এ উপজেলায় সর্ব প্রথম চার জন রোগীর দেহে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ে। যা প্রতিবেশী ভারত থেকে সংক্রমিত হয়। সেই থেকে শুরু হয় মহামারি আকারে আক্রান্তের সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিতে রীতিমতো বিপাকে পড়ে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো প্রায় ২০জন মারা যায়। গত আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আজ বুধবার করোনা বুলেটিং থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় এ উপজেলায় এক জন রোগীর দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া ওই রোগীর বাড়ি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে। এ ছাড়া মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১১ জন এরা আগের দিন সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১৮ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান রিজভি জানান, আশা করা যাচ্ছে আগামী দু এক দিনের মধ্যে শনাক্তের হার শূণ্যের কোঠায় নামবে। তিনি আরো জানান, উপজেলায় দায়িত্বের সাথে সকল চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। যে কারনে এখনে করোনা রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভাব হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৯৭৯ জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১৮৪৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী আছে ৯২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালের রেড জোনে আছেন ৪ জন এবং ইয়োলো জোনে আছেন ৪ জন। বাকি রোগী বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে এখানে করোনা রোগীরা ভাল সেবা পেয়েছেন। উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের রাসেল(২৪) বলেন,‘ আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলাম। সেখান কার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভাল না লাগায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে আসি। পরে এখানকার ভাল সেবা পেয়ে সুস্থ্য হয়েছি। এ ছাড়া সিরাজকাঠি গ্রামের আয়শা বেগমের সাথে কথা হয়। তিনিও একই রকম অনুভ’তির কথা ব্যক্ত করেন।