Type to search

অভয়নগর অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ২৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়েও সভাপতি নির্বাচিত

অভয়নগর

অভয়নগর অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ২৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়েও সভাপতি নির্বাচিত

অভয়নগর অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়
২৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকার পরেও তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলেন
অভয়নগর প্রতিনিধি:
অভয়নগর উপজেলা অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকার পরেও সেই মোশারফ আবারো নির্বাচিত হয়েছেন।
পদাধিকার বলে সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা তার মনোনিত প্রতিনিধি। মোশারফ হোসেন নানা দেন দরবার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনিত প্রতিনিধি হিসাবে সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।
জানা গেছে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালিন মোশারফ হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১১ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারীর নিকট থেকে বেতন করানো, রেজিষ্ট্রেশনের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা গ্রহন করে তা আত্বসাৎ করেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহিম ৩/১২/১৯ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তৎকালীন সভাপতি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্বসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন খান বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পন করেন।
একটি সুত্রে জানা গেছে,ওই দুই কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২০/৩/২০২২ তারিখে বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির এক সভা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আহবান করেন। ওই সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা নিতিমালা অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা হোসেন আলী ফকিরকে বাদ দিয়ে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মনোনীত করা হয়। এবং ওইসভায় শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে শ্রী মানবেশকে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। পরে তাকে বাদ দিয়ে শিক্ষক তুহিন রায়কে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এরপর আবার ২১/৪/২০২২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনকে সভাপতি নির্বাচিত করে বিদ্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্র পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের অভিভাবক,শিক্ষক ও এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

২০১৪ সালে অভয়নগর উপজেলা অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামে আব্দুর রহিম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১৪ শতক জমি দান করেন। তৎকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য হিসাবে জমি দাতার পিতা আলহাজ¦ হোসেন আলী ফকিরকে প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হয়। ওই সময়ে আলহাজ¦ হোসেন আলী ফকিরকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই সময়ে ১৪ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তবিবর রহমান তবি বলেন “মোশারফ হোসেনের মত একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি নির্বাচিত করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষযটি আমাদেরকে বিব্রত করেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন “ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করে মোশারফ হোসেন লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করলো আমি নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলাম। আবার তাকেই আবার সভাপতি মনোনীত করায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষকরা কোনোভাবেই মানতে পারছে না।
নির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, টাকা আত্বসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। ইউএনও আমাকে সভাপতি করেছেন তাই আমি সভাপতি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা আতœসাতের লিখিত অভিযোগের বিষয় আমাকে কেউ অবহিত করেন নি । বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব ।’