Type to search

অভয়নগরে থানা চত্বর থেকে পুলিশ সেজে অসুস্থ্য বৃদ্ধ’র কাছ অভিনব প্রতারনা

অভয়নগর

অভয়নগরে থানা চত্বর থেকে পুলিশ সেজে অসুস্থ্য বৃদ্ধ’র কাছ অভিনব প্রতারনা

মিঠুন দত্ত : অভয়নগর থানা চত্বর থেকে পুলিশ সেজে এক দু:স্থ বৃদ্ধর ওষুদ কেনা বাবদ মানুষের দেওয়া আর্থিক সাহায্যর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক।
প্রতারণার শিকার ওই বৃদ্ধ ব্যক্তির নাম লুৎফর রহমান(৭৬)। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের এক জন দিন মুজুর। লুৎফর রহমান জানান, তিনি গ্যাস্টিক আলছারে আক্রান্ত হয়ে অর্থ অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাই তিনি এলাকার পরিচিত মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ওষুদ কেনেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নওয়াপাড়া সার মোকামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দি গোল্ডেন এন্টার প্রাইজের মালিক আব্দুল গনি সরদার ও আরো দুই জন ব্যবসায়ির কাছ খেকে আটশত টাকা সাহায্য পেয়েছিলেন। শরীর দুর্বল থাকায় তিনি বাকা হয়ে অনেক কষ্টে হাটা চলা করেন। এ অবস্থায় তিনি ওই দিন বিকালে নওয়াপাড়া নূরবাগে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তার কষ্ট দেখে পুলিশের পোশাক পরা একজন লোক এসে তার হাত ধরে রাস্তা পার করতে আসে। পুলিশের পোশাক পরা ওই লোকটি বলে, আমি অভয়নগর থানার একজন পুলিশ। আপনি আমার বাবার মতো। আমার সাথে থানায় চলেন। আপনাকে আমরা সকল পুলিশ মিলে সাহায্য করবো। এ কথা বলে ওই ব্যক্তি বৃদ্ধ লোকটিকে কোলে করে ভ্যান গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসে। আসতে আসতে মোবাইলে ফোন করে পুলিশ বেশী লোকটি বলতে থাকে একজন বৃদ্ধ লোককে থানায় নিয়ে আসছি সে আমার বাবার মতো। ওকে সবাই মিলে পাঁচ হাজার টাকা সাহয্যকরতে হবে। থানা চত্বরে ঢুকে ওই বৃদ্ধকে অপেক্ষা করতে বলে।পরে মোবাইল করতে করতে ওই প্রতারক থানা ভবনে ঢোকে। একটু বাদে সেখান থেকে বের হয়ে এসে বৃদ্ধকে বলে, মাস শেষ তাই অনেকের কাছে টাকা নেই। আমার ব্যাংকে টাকা আছে আমি তুলে এনে আপনাকে পাঁচ হাজার টাকা দিচ্ছি। আপনার কাছে টাকা থাকলে আমাকে এক হাজার দুইশ টাকা দেন। আমি ফিওে এসে আপনাকে পাঁচ হাজার টাকা দেবো আর ওই টাকা ও ফেরৎ দেবো। এ কথা শুনে বৃদ্ধ লুৎফর রহমান তার কাছে থাকা আটশ টাকা ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়। টাকা গুলো হাতে নিয়ে ওই ব্যক্তি ব্যাংকের উদ্দেশ্যে থানা থেকে বের হয়ে চলে যায়। তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে লোকটি ফিরে না আসায় বৃদ্ধ লোকটি থানায় ডিউটিরত একজন পুলিশকে বিষয়টি জানান।তিনি ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে দুই তিন জন পুলিশের কাছ থেকে ৭০ টাকা সাহায্য তুলে বৃদ্ধকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এব্যপারে জানতে চাইলে ওই সময়ে কর্মরত থানার ডিউটি অফিসার সুইটি আক্তার বলেন, ‘এক জন অসুস্থ্য বৃদ্ধ লোক থানায় ঢুকে কান্না কাটি করছিলো। তাকে একজন গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ আমার কাছে এনে ছিলো। জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের ওই সদস্য আমাকে প্রতারণার বিষয়টি খুলে বলেন। পরে আমরা কয়েকজন পুলিশ মিলে বৃদ্ধকে কিছু টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম’।