মোটরসাইকেল ডাকাতির তদন্তে নেমে এই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। একটি ট্রাকসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৌখিক চুক্তিতে মোটরবাইক ভাড়া করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। গন্তব্যে পৌঁছে বাইক চালককে জোর করে হায়েস গাড়িতে তুলে ফেলে আগেই অপেক্ষায় থাকা চক্রের অন্য সদস্যরা। তারপর গাজীপুরে চলে যায় তারা। আর বাইকটি নিয়ে অন্য দিকে চলে যায় যাত্রীবেশী ডাকাত।
ভুক্তভোগী রিয়াজ হক বলেন, ‘ভাড়া নেয়ার পরপরই দুইজন আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। পেছন থেকে চোখ বেঁধে দেয়। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারিনা। ভবানীপুর নামে এক জায়গায় যেটা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, সেখানে নিয়ে তারা আমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।’
বাইক ডাকাতির এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচ সদস্য বলছে, সারা বছর গরু ডাকাতি করলেও মাঝে মাঝে বাইক ডাকাতিও করে তারা।
প্রায়দিনই তিনটি ট্রাক নিয়ে গরু বোঝাই ট্রাকের পিছু নেয় ডাকাতদের তিনটি দল। চালককে ট্রাক থামাতে বাধ্য করে অস্ত্রের মুখে নিজেদের ট্রাকে তুলে নেয় গরু। খামার কিংবা গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকেও গরু ডাকাতি করে চক্রটি। তারপর গাজীপুর কিংবা নরসিংদী নিয়ে সস্তায় গরু বিক্রি করে দেয় তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের-গোয়েন্দা বিভাগ (বিমানবন্দর) অতিরিক্ত উপ কমিশনার কায়সার রিজভী কোরায়েশী বলেন, ‘গরু বোঝাই করা ট্রাক থেকে ডাকাতি করে, খামারে এবং গৃহস্থের বাসায় গিয়ে ডাকাতি করে। এরপর তারা বেপারীদের কাছে সেই গরুগুলো বিক্রি করে।’
কর্মকর্তারা জানান, বাসা-বাড়িতে ডাকাতির টাকা দিয়ে তিন বছর আগে তিনটি ট্রাক কেনে বারো সদস্যের আন্তঃজেলা ডাকাত দল। তারপর থেকে শুরু করে গরু ডাকাতি। প্রায় তিন বছর ধরে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী ও গাজীপুর এলাকায় গরু ডাকাতিতে জড়িত চক্রটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের-গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তরা) উপ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘মোটরসাইকেলে কাজটা কম করে তবে গরুর ডাকাতিটা বেশি করে। চার পাঁচটা জেলার কিছু মানুষ কোথা থেকে গরু নেয়, কোথায় বিক্রি করে সেগুলো আমাদের নজরে আছে। আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’সূত্র,ডিবিসি নিউজ