Type to search

সুন্দলী সার্বজনীন মন্দিরের  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে টিএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

অভয়নগর

সুন্দলী সার্বজনীন মন্দিরের  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে টিএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোর অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী সার্বজনীন মন্দিরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে টিএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করছে মন্দীর কমিটি,গত ২৮ মার্চ মন্দির কমিটি অভয়নগর উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
টিএনও অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত মন্দিরের জমি দখল মুক্ত করার আশ্বাস প্রদান করেন। সুত্রে জানা যায় সে দিনই ভুমি অফিসের নায়েব এর কাছে ঘটনার সত্যতা যাচাই এর জন্য বলা হয়।
     
উল্লেখ্য ২নং সুন্দলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুন্দলী গ্রামে কেন্দ্রীয় সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দির, শ্রী দুর্গা মন্দির ও লোকনাথ বাবার মন্দির অবস্থিত ৷ এখানে সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং নিয়মিত পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ও বাৎসরিক দুর্গাপূজা,  বাৎসরিক ষোল প্রহর ব্যাপি মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান, লোকনাথ বাবার আবির্ভাব ও তিরোভাব তিথী মহাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ৷
হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দ উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে যোগদান করে আসছে ৷
 কিন্তু অতীব অনিয়ম ও আপত্তিকর বিষয় এই যে, অত্র সুন্দলী বাজার সংলগ্ন সার্বজনীন ক্রেনীয় মন্দিরের পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি বিধান কবিরাজ/রায় পিতা মৃত: কিরণ কবিরাজ/রায় গ্রাম+পোস্ট- সুন্দলী, অভয়নগর,যশোর অত্র মন্দিরে ভক্তবৃন্দের গমনাগমনের সরকারি পথ/ রাস্তা অনেকটাংশ জুড়িয়ে অবৈধ, বে-আইনভাবে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে দোকানঘর নির্মাণ করে আছে। ভাড়া প্রদান করে অর্থোপর্জন করে আসছে ৷ ফলে অত্র মন্দিরে গমনাগমন পথ/ রাস্তাটি সংকীর্ণতায় পর্যবসিত হয়ে পড়েছে ৷ যার ফলে অনুষ্ঠানকালে ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দের গমনাগমনকালে চরমভোগান্তির স্বীকার হতে হয় ৷
উল্লেখ্য গত ২২শে মার্চ উভয় পক্ষের দুটি আমিন উক্ত স্থানে মাপ দেয় এবং নিদিষ্ট স্থানে সীমানা পিলার স্থাপন করেন।
কিন্তু উক্ত দিনে সন্ধা ৭ ঘটিকায় দখল কারি বিধান কবিরাজ উক্ত সীমানা প্লার উপড়ে ফেলে দেয়।
মন্দির কতৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের সাথে কথা বলতে আসলে কমিটির সোহাগ বিশ্বাসের উপর চড়াও হয় বিধান কবিরাজ,এক পর্যায় দেশিয় অস্ত্র শাপল বের করে তাকে মারতে আসে। কতৃপক্ষ  তারা কোন রকমে পরিস্থিতি সামলে নওয়াপাড়া থানায় প্রশাসনের  দারস্ত হয়।
উক্ত রাতেই থানা কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
উভয় পক্ষকে ২৩ মার্চ থানায় হাজির হতে বলেন,কিন্তু বিধান কবিরাজ আমলে না নিয়ে থানায় সমাধানের জন্য হাজির হয় না।