Type to search

যশোর-৩ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কাজী নাবিল,স্বতন্ত্র থেকে প্রত্যাহার রেন্টু’র

যশোর

যশোর-৩ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কাজী নাবিল,স্বতন্ত্র থেকে প্রত্যাহার রেন্টু’র

 

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় তিনি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে যশোর শহরের বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন কাজী নাবিল। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। জমাদান শেষে মিছিল নিয়ে গরিব শাহ মাজারে গিয়ে দোয়া-প্রার্থনা করেন। এরপর যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী রেজা রাজুর কবর জিয়ারত করেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিন্টু, এসএম আফজাল হোসেন প্রমুখ।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে যশোর-৩ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোর-৩ আসনে আমাকে তৃতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, জনগণের সরব অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। আমরা আনন্দিত বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারও যশোর সদরের মানুষের সেবা করার জন্য মনোনীত করেছেন। আমি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে আবারও জনগণের জন্য কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্যদিকে আজই সাবেক পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম রেন্টু চাকলাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রেসক্লাব যশোরে তাৎক্ষণিক গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-দলের স্বার্থে আমি সরে দাঁড়ালাম। অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের এই ক্লিন ইমেজের নেতা সরে দাঁড়ালেও ম্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দলটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। এই নিয়ে দলটির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।