অভিযোগ রয়েছে, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের। এছাড়া, অফিসের কক্ষে থেকেও নিয়মিত উত্তোলন করতেন বাড়িভাড়ার টাকা। মেহেরপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল কাদের। বৃহস্পতিবার হলেই অফিসের গাড়ি নিয়ে চলে যান নিজ বাড়ি পাবনায়। এজন্য রেখেছেন ব্যক্তিগত গাড়ি চালকও।
গেল ৪ মাসে তেল খরচ বাবদ তিনি অফিস থেকে উঠিয়েছেন ৪৮ হাজার টাকা। অথচ জেলায় ছিলো না তেমন কোনও অনুষ্ঠান। গাড়ি চালক মিলন হোসেন বলেন,’বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এখান থেকে যায়, ওখান থেকে রবিবার সকালবেলা চলে আসে। চারটে ট্রিপ হয় মাসে। আমাকে ছয় হাজার টাকা দেয়।’
এছাড়া, অফিসের কক্ষে বাস করে বাড়িভাড়া বাবদ উঠান প্রায় এক লাখ টাকা। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সব কিছু করারই অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মেহেরপুর সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন,’আমি ব্যক্তিগত কাজে কখনও গাড়ি ব্যবহার করিনি। নিরাপত্তার খাতিরে আমি অফিসে থাকি। আমি যথাযথভাবে বাড়ি ভাড়া উঠাই।’
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য বরাদ্দ টাকায় হাত দেন ওই কর্মকর্তা। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১২ দিনের প্রশিক্ষণে ৩০ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, ছিলেন ১৪ জন। এছাড়া প্রশিক্ষণে নাস্তা না দেয়া, নিম্নমানের খাবার দেয়াসহ ভেন্যুভাড়া বাবদ টাকা নেয়ার পরও অফিসের গ্যারেজেই আয়োজন করেন প্রশিক্ষণের।
এ বিষয়ে রবিবার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন কয়েকজন সাংবাদিক। ভেঙ্গে দেওয়া হয় ক্যামেরা।
সূত্র, DBC বাংলা