Type to search

দেশে অটোমোবাইল শিল্প গড়ার চিন্তা

জাতীয়

দেশে অটোমোবাইল শিল্প গড়ার চিন্তা

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স
আমদানি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে, বাংলাদেশকে গাড়ি প্রস্তুতকারক দেশে রুপান্তর করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে, খসড়া নীতিমালাও প্রস্তুত।  

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বে মাথাপিছু সবচেয়ে কম গাড়ি ব্যবহারকারী দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।  নেই উপকরণ, যন্ত্রাংশের কারখানাও।  তবুও করছাড়, বিশেষ প্রণোদনা, আর মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তুলতে চায় শিল্পমন্ত্রণালয়।

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, জিপের ৭০ শতাংশই সেকেন্ড হ্যান্ড বা রিকন্ডিশনড।  বেশিরভাগই আসে জাপান থেকে।

বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, বছরে গড়ে ২০ হাজারেরও কম প্রাইভেট কার বিক্রি হয় বাংলাদেশের বাজারে। করোনার এ বছরে কমে এ সংখ্যা অক্টোবর পর্যন্ত ১০ হাজারও পার হয়নি। অভ্যন্তরীণ বাজার ছোট হলেও, দেশেই গাড়ি প্রস্তুতের স্বপ্ন দেখছে সরকার।  ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক অটোমোবাইল শিল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে উন্নিত করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালাও তৈরি করা হয়েছে।

আসিয়ান এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজার সবচেয়ে বড়্। প্রতি ১০০ জনের ৯০ জনই গাড়ির মালিক। তারপর থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া।  আর বাংলাদেশে প্রতি ৩০০ জনে একজন ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে। তবে বাংলাদেশ অটোমোবাইল সংযোজন ও প্রস্তুতকারক সমিতি বলছে, অভ্যন্তরীণ নয়, লক্ষ্য বিশ্ববাজার।

বহুদেশই গাড়ি শিল্প করতে চেয়েছে।  হাল ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিলি, আরব আমিরাত।  দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তান চেষ্টা করলেও, সফল হয়নি।  এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় বাজার মালয়েশিয়া বিপুল বিনিয়োগের পরও কমছে নিজস্ব গাড়ির চাহিদা।  সফল হয়েছে থাইল্যান্ড।  মূল ভিত্তি, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং কাঁচামাল -যন্ত্রাংশের নিজস্ব যোগান।

অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালায় বলা হয়েছে গাড়ি সংযোজন ও উপকরণ তৈরির কারখানায়, নতুন বিনিয়োগকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এককালীন শতভাগ শুল্ক ও করছাড় পাবেন।  এই খসড়া নীতিমালা নিয়ে বৃহস্পতিবার আরেকদফা আলোচনায় বসবে শিল্পমন্ত্রণালয়।

সূত্র, DBC বাংলা