Type to search

ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ নারী মুক্তি পরিষদ এর উপজেলা কমিটি গঠিত

জেলার সংবাদ

ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ নারী মুক্তি পরিষদ এর উপজেলা কমিটি গঠিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

গত ১৮ই আগস্ট রোজ শুক্রবার বেলা দুইটাই দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার নারী মুক্তি পরিষদের নেত্রী আম্বিয়া খাতুন এর সভাপতিত্বে মুরুটিয়া গ্রামে কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নারীদের নিয়ে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক স্বপ্না সুলতানা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ এর কেন্দ্র কমিটির বিকল্প সদস্য ঝিনাইদহ জেলার সম্পাদক কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব। কমিউনিস্ট লীগের জেলার সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কমরেড রাজা। নারী সমাবেশের সমাপ্তির আগে আম্বিয়া খাতুন কে আহ্বায়ক ও বুলবুলি খাতুন এবং আনোয়ারা খাতুন কে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কোটচাঁদপুর উপজেলা নারী মুক্তি পরিষদ এর কমিটি ঘোষণা করা হয়।

উক্ত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নারী মুক্তি পরিষদের আহবায়ক স্বপ্না সুলতানা বলেন বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। নারীরা ভূমির সময় অধিকার থেকে বঞ্চিত। মুসলিম নারীরা পিতা-মাতার সম্পত্তির ভাইয়ের প্রাপ্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশীদার আর স্বামীর সম্পত্তির মাত্র ২ আনা অংশীদার। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তি 8 আনা অংশীদার। নারীদের কোন নিজস্ব বাড়ির ঠিকানা নেই বিবাহের আগে পিতার বাড়ি বিবাহের পর স্বামীর বাড়ির ঠিকানা তাকে দিতে হয়। হিন্দু নারীরা পিতা-মাতা সহ স্বামী কারো সম্পত্তির অংশীদার হয় না। ফলে তাদের নদীর শ্যাওলার মত ভেসে বেড়াতে হয়। সাংসারিক জীবনে দুইজন সংসার করলেও যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে স্ত্রী ওই সংসার থেকে কোন কিছুই পায় না। শুধু মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে দেনমোহর এর টাকা দিয়ে তাকে বিতাড়িত করে দেয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এই প্রাপ্য দেনমোহরের টাকাও তাদের দেয়া হয় না। সরকার সম অধিকারের কথা বললেও নারীদের সম্পদের অধিকার না থাকার ফলে নারীরা সর্বদিক দিয়ে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। এই অধিকারের দাবিতে সারা দেশের নারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। আর সংগ্রামের মাজ দিয়েই নারীরা তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেবে ।এই আহ্বান জানান।