Type to search

ঝিকরগাছার সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী বিল্লালের অভিনব কায়দা ফাঁস : প্রশাসন নিরব  

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছার সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী বিল্লালের অভিনব কায়দা ফাঁস : প্রশাসন নিরব  

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের কথিত ভূয়া ডাক্তার বিল্লাল হোসেন নিজের ও তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে সরকারের সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে প্রশাসনের পক্ষ হতে ব্যাংক একাউন্টটি সাময়িক বন্ধ করা হলেও সরকারি অর্থ ফেরৎ ও অভিযুক্তদের প্রতি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে প্রশাসনকে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। আর ক্রমাগতই নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে একের পর এক অন্যায় সাথে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে ধারণ করছে এলাকার সচেতন মহল।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের তারা চাঁদ মন্ডলের ছেলে মোরশেদ আলী। বর্তমানে তিনি মৃত। আর এই মোরশেদ আলীর সাথে পিতার নাম তারা চাঁদ মন্ডলকে পুজি করে উক্ত এলাকার কথিত ভূয়া ডাক্তার বিল্লাল হোসেন, মশিয়র রহমান নামের একজন মৃত মুক্তিযোদ্ধার ভারতীয় তালিকায় নং ৪৭৭৫৩, বেসামরিক গেজেট নং ১৬৪৫ এর ওয়ারেশ সেজে মনে মনে অভিনব কায়দার ফাঁদ তৈরী করে তার নিজের (বিল্লালের) ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম মোরশেদ আলীর স্থলে মশিয়ার রহমান করে বিভিন্ন  দপ্তরের জমা প্রদান করে তাদের নামে মশিয়ারের নামে আসা সরকারের মুক্তিযোদ্ধার ভাতা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বুঝতে পেরে তথ্যানুসন্ধানে নেমে বিল্লালের জাতীয় পরিচয়পত্র নং ১৯৮২৪১১২৩৭১৯২০৮৬৩ এ পিতার নাম ও তার মাতা আমেনা বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্র নং ১৯৬২৪১১২৩৭১৮৬৮৭০২ তে স্বামীর নাম মোরশেদ আলী রয়েছে। এছাড়াও তাদের জমির সকল পর্চাতেও মোরশেদ আলী নাম ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু এই বিল্লাল হোসেন তার নিজের ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম মোরশেদ আলীর স্থলে মশিয়ার রহমান করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রথমে কিছু নকল কাগজপত্র দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  হস্তক্ষেপে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেই আবেদনটি বাতিল করেন এবং মা ও ছেলে মিলে সোনালী ব্যাংক, ঝিকরগাছা শাখা থেকে ২৩৮০২৩০০৩২৪১ নং একাউন্ট বন্ধ করে রেখেছেন। সময়ের বিরর্তনে তিনি মনে করেছেন আবারও তথ্য গোপন করে ২৯নং কুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আল মাহমুদকে না জানিয়ে বিগত ৩০ মে ২০২৩ ইং তারিখে  কম্পিউটারের একটি প্রত্যয়নপত্র তৈরী করে জাল স্বাক্ষর করে আবারও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে তথ্য অনুসন্ধানে ২৯নং কুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আল মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি সংবাকর্মীদের বলেন, অত্র প্যাড, প্রত্যয়ন পত্র ও স্বাক্ষরটা আমার দেওয়া না। আমার প্যাড, প্রত্যয়ন পত্র ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। আমি অচিরেই এই জালিয়াতিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কুলিয়া গ্রামের মোরশেদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।