শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ভাষকরদি গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধা সর বানু। ১৯৮৮ সালে স্বামির মৃত্যুর পর ইট ভাঙার কাজ করে প্রতি মাসে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো আয় করেন। এই টাকা থেকে ঘর মেরামতের জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জমিয়ে ছিলেন তিনি।
আর এই টাকার ওপর নজর পড়ে এলাকার মাসুম আকন, ইলিয়াস ঢালী ও নিরব ঢালীর। ২৫শে অক্টোবর রাতে সিদকেটে সর বানুর ঘরে ঢোকে তারা। টাকা চুরির পর বৃদ্ধার গলায় থাকা রুপার চেইন চুরির সময় মাসুম আকনকে ধরে ফেলে সর বানু। এসময় তাকে বেদম মরধর করে তিনটি দাঁত ভেঙে ফেলে চোরেরা। রক্তাক্ত অবস্থায় আলো জ্বালিয়ে তিনজনকেই চিনতে পারেন তিনি।
পর দিন স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা হয় ওই বৃদ্ধার। পরে স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে ৩১শে অক্টোবর পালং থানায় অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধা। তবে, বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ। পরে সংবাদকর্মীদের হস্তক্ষেপে ৭ই নভেম্বর মামলা হয়। তবে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সর বানু বলেন,’আমার কেউ নাই। আমার পুত ও নাই ক্ষেত ও নাই। আমারে কেউ নাই।’
এদিকে আসামিদের দ্রুত আইনের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানায় পুলিশ। শরীয়তপুর নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মিজানুর রহমান জানান,’আসামি গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারবো।’
সূত্র, DBC বাংলা