Type to search

চেয়ারম্যানের দূর্নীতি অনিয়ম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্যের  লিখিত অনাস্থা প্রদান

নড়াইল

চেয়ারম্যানের দূর্নীতি অনিয়ম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্যের  লিখিত অনাস্থা প্রদান

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে
দূর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্য বৃহস্পতিবার
জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অনাস্থা প্রদান করেছেন। এ ঘটনা ইউনিয়নে
চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শেখহটি ইউনিয়নের যে সকল ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ
করেছেন তারা হলেন ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর আনোয়ার হোসেন,২ নং ওয়ার্ড মেম্বর
মোঃ বাহারুল,৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর নাসির উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বর
জাহাঙ্গীর আলম,৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর এরশাদ আলী, ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর শ্যামল
কুমার সিকদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি মেম্বর নুর নাহার,অনীতা রানী, দিপালী
কর । লিখিত অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, চেয়ারম্যান নিজের খামখেয়ালি ভাবে
পরিষদ পরিচালনা করেন। ওয়ার্ডের অন্য কোন মেম্বরদের কোন রকম মতামত গ্রহণ
করেননা। বরাদ্দ কৃত সমুদয় টি, আর, কাবিকা, চালের কার্ড , টিসিবি কার্ড
প্রদান কালীন সময়ে নিজের ইচ্ছে মত বন্টন করেন ইউপি সদস্যরা তার কাছে গেলে
রুক্ষ মেজাজে কথা বলেন। পরিষদের কোন কাজে ইউপি সদস্যদের  কাজে লাগাননা।
পরিষদে বিএনপির কতিপয় কিছু অসাধু লোক এজেন্ট হিসাবে রেখেছেন। তারা সকল
কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে
সাধারণ মানুষের নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে এসব বিষয়ে
অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নুর নাহার বলেন, চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাস
আমাদের সাথে রুক্ষ মেজাজে কথা বলেন। পরিষদের কোন কাজ আমাদের সাথে সম্বনয়
করেননা। পরিষদে বরাদ্দ কৃত মালামাল নিজের মত বন্টন করেন। আমরা এই কারনে ৯
জন ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছি।
৭ নং ইউপি সদস্য আনোয়ার বলেন,চেয়ারম্যানের আচার আচারনে এতটাই অতিষ্ঠ যে
আমরা এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। জনগনের কোন সেবামূলক কাজে আমরা অংশ
গ্রহন করতে পারছি না।
২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাহারুল বলেন, পরিষদে আমাদের কাজ করার বয়স ১০
মাস। এই ১০ মাসে আমাদের কোন কাজ দেননি চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাস । কারন
জানতে চাইলে তিনি আমাদের মূল্যায়ন করে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলক বিশ্বাস বলেন,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা
হচ্ছে। আমি নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের সকল সদস্যের মতামতের মাধ্যমেই সকল
সিদান্ত নেই,বরাদ্দ ও ভাগবাটোরা করি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি
তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।