Type to search

কর্ণাটকে বোরকা পরায় পরীক্ষা দিতে বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা

জাতীয়

কর্ণাটকে বোরকা পরায় পরীক্ষা দিতে বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা

অনলা্বনি ডেক্স :

বোরকা পরায় হাভেলি জেলার এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে ঢুকতে বাধার মুখে পড়ে
বোরকা পরায় হাভেলি জেলার এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে ঢুকতে বাধার মুখে পড়েছবি: টুইটার
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বোরকা পরায় হাভেলি জেলার এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে ঢুকতে বাধার মুখে পড়েছে। এরপর স্কুলের পোশাক পরে ফিরে আসার পর তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। রাজ্যের বাগলকোট জেলাতেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এক শিক্ষার্থীকে হিজাব ছাড়া আসতে বলা হয়। তবে হিজাব খোলার পরিবর্তে সে পরীক্ষা দেয়নি।

ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা মোহন কুমার বলেন, ‘বোরকা পরে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিল। সে স্কুলের পোশাকবিধি মানেনি। আমরা তাকে বোঝাই, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আমাদের এমন কথার পর সে পোশাক পরিবর্তন করে। এখন পরীক্ষা দিচ্ছে।’
চলতি মাসের শুরুতে কর্ণাটকের হাইকোর্ট রুল দিয়ে বলেন, ‘ধর্মীয়ভাবে হিজাব আবশ্যক নয়। সবাইকে স্কুল ও কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী পোশাক পরে যেতে হবে।’
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অরগ জনেন্দ্র বলেছেন, ‘যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আমরা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না। সবাইকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে আসতে হবে।’

রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বি সি নগেশ বলেন, ‘সরকারি নিয়ম যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’ শিক্ষার্থীদের কোনো ভয় ছাড়া পরীক্ষায় বসার আহ্বানও জানান তিনি।

কর্ণাটকে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। আগামী ১১ এপ্রিল সর্বশেষ পরীক্ষা হওয়ার কথা।

তবে হিজাব পরতে না দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যের কিছু মুসলিম নারী শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

হিজাব পরার জন্য শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না—রাজ্যের উদুপি জেলায় সরকারি গার্লস পিইউ কলেজের ছয় শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ তোলার পর কর্ণাটকে হিজাব–বিতর্ক শুরু হয়। মুসলিম ছাত্রীরা এর প্রতিবাদ শুরু করেন। গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই বিতর্ক এখনো চলছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।

সূত্র প্রথম অলো ;