Type to search

এইচ এস সি’র সাধারন শিক্ষায় পাশের হার ৭১ দশমিক আট পাঁচ শতাংশ

জাতীয়

এইচ এস সি’র সাধারন শিক্ষায় পাশের হার ৭১ দশমিক আট পাঁচ শতাংশ

 

অপরাজেয় ডেক্স- ২০১৯ সালে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ, ১০ বোর্ডে যতজন জিপিএ–৫ পেয়েছেন, এর বেশির ভাগই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে এবার মোট জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফলাফল–সম্পৃক্ত কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

গতবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৫৬২ জন। অর্থাৎ, এবার এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ–৫ দুটোই বেড়েছে।

অন্যদিকে, এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন।

এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।

 

 

যশোর বোর্ডে এ বছর পাশের হার বেড়েছে

উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০১৯-এ গত দুবছর নিম্নমুখী ফলের পর এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।

গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ বছর বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন।

গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮৯ জন। তবে ২০১৬ সালে ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দেশসেরা হয়েছিল যশোর বোর্ড।

বুধবার দুপুরে প্রকাশিত ফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ ফল নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এবারের ফল সন্তোষজনক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গতবারের চেয়ে এবার ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, এ বছর যশোর বোর্ড থেকে এক লাখ ২৬ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৯৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৪৪২ এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৫৩ জন।

পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ৬০ জন।

গত বছর এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৯ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬৬ হাজার ২৫৮ জন।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৩১ হাজার ৬৫২ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ৬০৬ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৮৯ জন। বহিষ্কৃত হয়েছিল ৪৭ জন।

২০১৭ সালে এই বোর্ড থেকে ৯৫ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৬৭ হাজার দুজন।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৩৩ হাজার ৮০৮ ও ছাত্রী ৩৩ হাজার ১৯৪ জন। পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৪৪৭ জন। বহিষ্কৃত হয়েছিল ৫৬ জন।

২০১৬ সালে এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৭২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল এক লাখ ৮ হাজার ৯২৯ জন।

পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৬ জন। পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয়েছিল ৮১ হন।

২০১৬ সালে দেশসেরা ফল অর্জনের পর ১৭ ও ১৮ সালে দুবছরে পাসের হার কমে যায় ২৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ড আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সন্তোষজনক ফল অর্জন করেছে।

শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২১ হাজার ১৪৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ হাজার ১০০ জন।

পাসের হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৫৪১ জন। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮২ হাজার ৪০৩ জন।

উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ৮৩৫ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৩২ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২২ হাজার ৬৮০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৫৬০ জন।

পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৯ ছাত্রছাত্রী।

এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র সাংবাদিকদের জানান, সবার সহযোগিতায় গত দুবছরের তুলনায় এবার যশোর বোর্ডে ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

এবার দুদক ও মন্ত্রণালয়ের নোটিশের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের ফরমপূরণ করায়নি।

ফলে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় পাসের হার বেড়েছে।

আরও একটি বড় ব্যাপার হলো- স্কুলপর্যায়ে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয়া এসএসসির প্রথম ব্যাচটি উত্তীর্ণ হয়েছিল ২০১৭ সালে।

ওই শিক্ষার্থীরাই এবার এইচএসসিতে অংশ নিয়েছে। এটিও ভালো ফলের আরেকটি কারণ।