Type to search

আমডাঙ্গা খালের গেট খোলা হয়না  ৪ মাস, পানি নিষ্কাশন বন্ধ

অভয়নগর

আমডাঙ্গা খালের গেট খোলা হয়না  ৪ মাস, পানি নিষ্কাশন বন্ধ

দির্ঘদিন গেট অপারেটর বেতন বন্ধ
 আমডাঙ্গা খালে বন্ধর স্লুইচ গেট খোলা হয়না  ৪ মাস, পানি নিষ্কাশন
প্রিয়ব্রত ধর,ভ্রাম্যমান প্রতনিধি:
ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম আমডাঙ্গা খালের স্লুইচগেট দীর্ঘ ৪ মাস বন্ধ রয়েছে। গেটম্যানের মাসিক ভাতা না দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমেও আমডাঙ্গা দিয়ে বের হওয়া ৫/ ৬ টি বিলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
জানা গেছে, এলাকার বিলগুলোতে এখনো  পানিতে ভরে আছে।ঘেরের পাড় না জাগায় মাছ ধরতে পারছেন না মৎস্যচাষিরা। বোরো আবাদ হয়নি প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে শুক্রবার আমডাঙ্গা খালের গেটে গিয়ে দেখা যায় ৬ টি গেটই বন্ধ রয়েছে। গেট অপারেটর রাজু আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ৬ মাস পাউবো আমাকে বেতন দেয় না। বিনাবেতনে কি আর কাজ করতে ভাল লাগে? গেট বন্ধ কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় ২ নং সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল অনেক আগে এসে গেট বন্ধ করে গেটের চাবি নিয়ে গেছেন। সেই থেকে বন্ধ আছে আমডাঙ্গা খালের স্লুইচ গেটগুলো। ফলে মোটেও পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পাউবো- আমডাঙ্গা খাল সম্পর্কে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। আর গেট বন্ধের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।
জানা গেছে,  জোয়ার- ভাটির সময় গেটের কপাট ওঠা নামানোর জন্য পাউবো গেট অপারেটর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু চার মাস বন্ধ থাকায় গেটগুলোতে মরিচা ধরে প্রায় অচল আবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে স্লুইচগেট দেখতে এসেছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির কয়েকজন নেতা। তারা গেটের অব্যাবস্থাপনা দেখে পাউবোর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। পরে গেটম্যানের সহযোগীতায় ৬টির মধ্যে ৫টি কপাট খুলতে তারা সক্ষম হন। তারা জানান, দীর্ঘদিন গেট বন্ধ থাকায় গেটের ভীতরে ময়লা জমায় পানি বের হতে পারছে না।
এ সময় সংগ্রাম কমিটির নেতা শিবপদ বিশ্বাস বলেন,” গেট বন্ধ থাকায় আমাদের জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসের কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে প্রায় ৫/৬ ইঞ্চি জল বৃদ্ধি পেয়েছে। গেট খোলা থাকলে জল কম হত।”
এমতঅবস্থাতে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ পাউবোকে এ  অব্যাবস্থাপনার জন্য দায়ী করেন। এলাকাবাসীর জোর দাবী যত দ্রুত সম্ভব খালটি সংষ্কারের মাধ্যমে ভবদহ বাসীর মুক্তির ব্যবস্থা করা।
  এ ব্যাপারে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পাউবো ইচ্ছাকৃতভাবে এ সব করে।
যাতে খাল বন্ধ হয়, নতুন বরাদ্দ আসে সে চেষ্টা তারা করে। বরাদ্দ আসলেই তাদের লাভ।