Type to search

আজ বিশ্ব হাতি দিবস

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ

আজ বিশ্ব হাতি দিবস

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: নগরায়ন এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে নষ্ট হচ্ছে হাতির বিচরণভূমি।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় ধ্বংস হয়েছে বনাঞ্চল। হুমকির মুখে পড়েছে বন্যহাতি। বাসস্থান ও বিচরণস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি খাদ্য সংকটে গত ৪ বছরে মারা গেছে বেশ কিছু হাতি। বিরূপ এই পরিস্থিতির মধ্যেও এক বছরে অন্তত ২০টি হাতির বাচ্চা জন্ম নেয়ায় দেখা দিয়েছে আশার আলো।

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বনবিভাগের সাড়ে ৬ হাজার একর সংরক্ষিত বনের গাছপালা আর পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়। আর জ্বালানি সংগ্রহে ধংস হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের আরো ২ হাজার একর গহীন বনাঞ্চল।

এসব পাহাড় ও বনভূমি ছিল প্রাণিদের অবাধ বিচরণ ও অভয়াশ্রম। কিন্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীববৈচিত্র্য। বনবিভাগের ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বনাঞ্চলে বিচরণকারী হাতি ছিল ৬৩টি। কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস ও খাদ্য সংকটে মারা গেছে ১২টি হাতি।

বন্যহাতি রক্ষায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলার পাশাপাশি, খাদ্য সংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি পরিবেশবিদদের। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু বলেন, আমাদের খাদ্য উপযোগী গাছ লাগাতে হবে। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশেষ কর্মী নিয়োগ করা প্রয়োজন।

বনবিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাড়ে ৩শ হেক্টর নতুন বনায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি হাতিসহ বন্যপ্রাণির খাদ্য সংস্থানের উপযোগী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তারা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারে গত দুই বছরে আমরা আরও প্রায় ৫০০ একর নতুন বাগান সৃষ্টি করেছি। হাতির নিরাপদ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বন বিভাগ কর্তৃক একটা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বন বিভাগ বলছে, আগামী বছরের মধ্যে পরিকল্পনা রয়েছে আরো ১০০ হেক্টর বনায়নের।সূত্র,ডিবিসি নিউজ