Type to search

অভয়নগরে হাট বাজারে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্য মানছে না কেউ ২৯ পণ্য

অভয়নগর

অভয়নগরে হাট বাজারে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্য মানছে না কেউ ২৯ পণ্য

অভয়নগরে হাট বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূলকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ২৯ পণ্য
নওয়াপাড়া অফিস
অভয়নগর উপজেলার হাট বাজারে পবিত্র রমজান উপলক্ষে কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কর্তৃক ২৯টি নিত্য পণ্যের বেঁধে দেওয়া মূল্য তালিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অধিক মূলে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়িরা জানেই না নতুন করে বেঁধে দেওয়া এসব মূল্য তালিকার কথা। রবিবার বিকালে বাজার ঘুরে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে পবিত্র রমজানে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণপন্য ছোলা। কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কর্তৃক খুচরা পর্যায়ে ছোলার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে কেজি প্রতি ৯৮ টাকা। কিন্তিু নওয়াপাড়া বাজারের দত্ত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, মুসুর ডাল চিকন দানা ১৩০.৫০ টাকা, কিন্তু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা। চিকন দানার মুসুর ডাল সরকারি দাম ১০৫ টাকা , বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মোদিদোনী দত্ত স্টোরের মালিক তাপস দত্ত বলেন.  ‘তিনি ওই সব পণ্য যে দামে কিনেছেন তার থেকে সামান্য লাভ নিয়ে বিক্রি করছেন। আগামীতে সরকার নির্ধারিত দামে কার্ড টাঙিয়ে বিক্রি করা হবে।’
তরকারির দোকানী মোজাফ্ফারে দোকানে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত আদার মূল্য ১৮০ টাকা। তিনি বিক্রি করছেন ২২১ টাকা, ২৮ টাকার আলু বিক্রি করছেন ৩৫ টাকা। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে ওই দোকানী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তিনি আড়ৎদারে কাছ থেকে যেমন দামে কিনছেন সে অনুযায়ি বাজারে বিক্রি করছেন।
আল্লার দান মুরগির দোকানে ধেখা যায় ১৭৫ টাকার ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২২১ টাকায়, ২৬২ টাকার সোনালী গুরগী বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা। এব্যাপারে জানতে চাইলে ওই দোকানে কর্মরত আলাউদ্দীন বলেন আমারা সরকার নির্ধারিত নতুন দাম সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি ক্রয় করা মরগীর ওপর কেজি প্রতি ২০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।
ছাগলের মাং বিক্রেতা কুব্বাত আলী বলেন, তিনি সরকারি দাম সম্পর্কে জানেন না। সরকার নির্ধারিত খাসীর মাংসের মূল্য ১০০৩ টাকা। কিন্তু তিনি বিক্রি করছেন ১১শ টাকা কেজি।
নওয়াপাড়া বাজারের সুনামধন্য গরুর গোশের দোকানী হাসমত আলীর দোকানে দেখা যায় তিনি সরকার নির্ধারিত গেশের দাম কেজি প্রতি ৬৬৪ টাকার পরির্বতে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে তার এক কর্মচারি বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেব যে মূল্য নির্ধারণ করেছে আমরা নেই দামে বিক্রি করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কর্তক বেঁধেঁ দেওয়া পণ্যের ওপর এখনো কোন প্রচার প্রচারনা চালানো হয়নি। আগামী কাল থেকে মাউকিং হবে। তার পর বাজারে অভিযান চালানো হবে।’