Type to search

অভয়নগরে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের অভয়নগর উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের এক বেকার যুবকের কাছ থেকে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এলাকার একটি চক্র ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং: ২৬, তারিখ: ৩১/৭/২০২০।
দেয়াপাড়া গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম মোল্যার শিক্ষিত বেকার ছেলে তুহিন মোল্যাকে সেনা বাহীনিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলার বারান্দি গ্রামের কাশেম গাজীর ছেলে আকিজ উদ্দিন টুকু(৩৮) ও পায়রা গ্রামের জিন্নাহ মাওলানার ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম (৩৭) ও চৌগাছা উপজেলার হাজীপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবক মিলে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তুহিন মোল্যাকে সেনা বাহীনিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় আকিজ উদ্দিন টুকু ও জাহিদুল ইসলাম। এজন্য তাদের ১০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করে। পরে তুহিনের পরিবার বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমানের ভিক্তিতে জাহিদুল ও টুকুর হাতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তারিখে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেয়।
এর কয়েক দিন পরে তারা তুহিনকে নিয়ে যশোরে কালেক্টর অফিসের পার্কে নিয়ে তুহিনকে জুহিরুল ইসলামের সাথে পরিচয় করে দিয়ে বলে উনি আর্মির মেজর। পরে জহিরুল ইসলাম ও নিজেকে সেনা বাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য দাবি করে। তিনি তুহিনকে বলেন, তোমার কোন চিন্তা নেই আমি চাকরির সব ব্যবস্থা করে দেব।
গত ২৪ জানুয়ারী সেনা বাহিনীতে যোগদানের জন্য তারা তুহিনকে খাগড়াছড়ি সেনা ক্যাম্পে যেতে বলেন। চাকরিতে যোগদানের জন্য তুহিন ২০ জানুয়ারী বাড়ি থেকে খাগড়াছড়িতে যায়।
এর পর তুহিনের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। এসময়ে টুকু ও জাহিদুল আবার তুহিনের পিতার কাছে আসে। তারা বলেন, তুহিন ট্রেনিংয়ে সমস্যায় পড়েছে তার জন্য আরো চার লাখ টাকা দিতে হবে । এ সময়ে তুহিনের পিতা ওই টাকা দিতে অসমার্থ প্রকাশ করে। তারা পরে চার লাখ টাকার নিরাপত্তা বাবদ দুইটি চেক ও একটি সাদা স্টাম্পে তুহিনের পিতার স্বাক্ষর নেয়।
৫৬ দিন পরে তুহিন হটাৎ করে বাড়ি ফিরে আসে। তুহিন বাড়ি ফিরে জানায় এতদিন তাকে খাগড়াছড়ির একটি জ¦রাজির্ন ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছিলো। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো এবং টয়লেট পরিস্কার করান হত । সেখান থেকে তুহিন কৌশলে পালিয়ে এসেছে।
এ ঘটানায় তুহিনের চাচা বাদি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আকিজ উদ্দিন টুকু গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। আদালতে সে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, আমি টাকা নিয়ে জাহিদকে দিয়েছি। পরে জাহিদ ও আমি যশোরে জহিরের কাছে আসি। জহির নিজেকে আর্মির রিকুইটিং অফিসার দাবি করে। আমি তাকে তুহিনের জন্য তার কাছে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলামের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে এলাকার কোখাও খুজে পাওয়া যায় নি। জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সাথে তুহিনের চাকরির ব্যপারে টাকা পয়সার একটা লেনদেন হয়েছিল। আমারা এ বিষয়ে মিমাংসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আপনি কোন সংবাদ পরিবেশন করবে না। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না জানতে আদালতে গ্রেফতার টুকুর জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

Next Up