Type to search

অভয়নগরে যানজটের ভারে হাসপাতালে রোগী নেয়া দায়

অভয়নগর

অভয়নগরে যানজটের ভারে হাসপাতালে রোগী নেয়া দায়

স্টাফ রিপোর্টার : অভয়নগরে নূরবাগ মনিরামপুর সড়কটির উপর যত্রতত্র যানবাহন রেখে যাত্রী উঠা নামা করা ও ফুটপাথের উপর দোকান বসা,স্থায়ী দোকানীরা ফুটপথ দখল করে দোকান বর্ধণ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিক পাড়ায় রোগী আনা নেওয়ায় মারাত্মক সমস্য হচ্ছে।
নওয়াপাড়া মনিরামপুর সড়কটি শিল্প বাণিজ্য ও রন্দর নগরী নওয়াপাড়ার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এটি যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলা সংযোগের একটি সংক্ষিপ্ত সড়ক। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার লোকের যাতায়ত এ সড়ক দিয়ে। সড়কের নূরবাগ এলাকায় ২শ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে ১১টি স্টান্ড। এর মধ্যে চারটি ভ্যান স্টান্ড, তিনটি ইজিবাইক, একটি টেকার ,২টি থ্রি হুইলার অটোরিক্সা ও একটি নছিমুন স্টান্ড। ব্যাপক লোকজনের যাতায়ত হওয়ায় সড়কের ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে তরকারিসহ কয়েক শত দোকানপাট। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেদারছে বেচাকেনা হয় ওই সব দোকানপাটে। এ সময়ে এখানে পায়ে হেটে চলাচল ও দায় হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কের পাশের স্থায়ী দোকানের মালিকেরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনের ফুটপাথ মোটা টাকা অগ্রিম নিয়ে অস্থায়ী দোকানে জন্য ভাড়া দিয়ে থাকেন । এরা রাস্তার দুই ধারের ফুটপাথ দখল করে তরকারি, মাছ, ফলসহ নানাধরনের নিত্য পণ্য বিক্রি করে থাকেন । ভাড়া দেওয়ার সুবিধার্থে স্থায়ী দোকানদাররা ফুটপাথের উপর টিনের ছাওনি দিয়েছে। এতে নূরবাগ এলাকার ব্যস্ততম রাস্তাটি আরো সংকৃর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক সময় রাস্তার ওপর যত্রতত্র ট্রাক থামিয়ে মালামাল লোড আনলোড করা হয়। ফলে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বেশ কয়েকজন দোকানদার ইট ও সিমেন্ট দিয়ে রাস্তার জায়গা গেঁথে দোকান সম্প্রসারণ করেছেন। ।নওয়াপাড়া বাজারে দুইটি তরকারির বাজার রয়েছে। হাসপাতাল সড়কের ফুটপাথে কাঁচা বাজার বসায় বাজারের ভিতর তরকারি কেনার খরিদদার কমে গেছে।
নূরবাগ কাঁচা বাজার কমিটির সভাপতি শাহ আলম জানান, রাস্তার ওপর বাজার বসায় বিকালের পর আমাদের বাজারে কোন খরিদার আসে না। আমারা ফুটপাথের দোকান উচ্ছেদের জন্য অনেকবার মেয়রের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু তিনি কোন বিহিত করতে পারেন নি। বাধ্য হয়ে আমরাও ফুটপথে দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। সালাম মেডিকেল স্টোরের মলিক সাধন পাল বলেন, আমার দোকানের সামনে একজন জোর করে তরকারির দোকান বসিয়ে ছিলো। তাকে উচ্ছেদ করতে গেলে আমার ওপর হামলা হয়। পরে ঝামেলা এড়ানোর জন্য এখন আর কিছু বলি নে। তবে তিনি ভাড়া নেওয়ার বিষটি এড়িয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভ্যান ওয়ালা কলেন, রাস্তর ওপর ভ্যান না রাখলে যাত্রী পাওয়া যায় না। তাই আমরা রাস্তার ওপর ভ্যানস্টান্ড বসিয়েছি।
টেকার স্টাটার জোহর আলী বলেন, আমাদেন স্টান্ড রাস্তার পাশে তাই অনেক সময় টেকার রাস্তায় রেখে যাত্রী ওঠানামা করোনা হয়। ফুটপাথে তরকারি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, আমার দোকান নূরবাগ কাঁচা বাজারে। সেখানে আগে অনেক কেনা বেচা হতো, এখন ফুটপথে কাঁচা বাজার বসার কারণে আমার দোকানে কোন খরিদ্দার যায় না। বাধ্য হয়ে ফুটপথে দোকান বসিয়ে কেনাবেচা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান রিজভি বলেন,“ রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা, ফুটপাথে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করা ও দোকানীরা ফুটপাথ দখল করে দোকন বর্ধণ করার কারনে হাসপাতাল রোডে যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান করেন।”
অভয়নগর নওয়াপাড়া ট্রাক ট্রানেন্স পের্টা এজেন্সির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “আমরা সাংগঠনিক ভাবে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম । এ ব্যপারে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্য’র কাছে সাহয্য চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি কোন সাহায্য করেনি।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্য মো: শাহাবুদ্দিন চৌধূরী বলেন. “ আমরা হাইওয়ে সড়কের যানজট নিরসনের কাজ করি। সংযোগ সড়কের যানজট দেখা আমার দয়িত্ব না। তাই হাসপাতাল সড়কের যানজট নিরসনে আমরা কাজ করি না। তিনি আরো বলেন, ট্রাক ট্রানেন্সপোর্ট ইউনিনের নেতা ইব্রাহিম বিশ^াস হয়তো মিটিংয়ে এ ধরনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে আর যোগাযোগ করেনি।”