Type to search

হাতবিহীন সেই লিতুন জিরা পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে

যশোর

হাতবিহীন সেই লিতুন জিরা পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে

জি, এম ফারুক আলম, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুরে দুই হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়া সেই লিতুন জিরা পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, দুই হাত-পা ছাড়া জন্ম নেয়া লিতুন জিরা। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী এবং প্রখর মেধাবী সে। হুইল চেয়ারেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে আজ সে এ-প্লাস পেয়েছে। তার বাবা উপজেলার এ. আর মহিলা কলেজের প্রভাষক। তিনি গত ১৭ বছর ধরে ওই কলেজে চাকুরি করলেও আজও কলেজটি এমপিওভূক্তি হয়নি। তার বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তবে বেতন না পাওয়ায় তাদের সংসার খুব কষ্টে চলে।
লিতুনের বাবা হাবিবুর রহমান ও মা জাহানারা বেগম বলেন, জন্মের পর মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে নানা চিন্তা ছিলো তাদের। এখন মেয়ের মেধা তাদের আশার সঞ্চার করছে। লিতুন আর ১০ জন শিশুর মতো স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়া-দাওয়া, গোসল সব কিছুই করতে পারে। মুখ দিয়েই লেখে সে। তার চমৎকার হাতের লেখা যে কোন ব্যক্তির দৃষ্টি কাড়বে। তার ভাল ফলাফলের জন্য বাবা-মা খুবই আনন্দিত।

লিতুন এ প্রতিবেদককে জানায়, আমার একটাই ইচ্ছা পরনির্ভর না হয়ে লেখা পড়া শিখে দেশের কল্যানে নিজেই কিছু করতে চাই। তবে, কিছুদিন আগে মারা যাওয়া দাদুর জন্য খুব মন খারাপ লিতুনের। দাদু বেঁচে থাকলে তিনি আরো বেশি খুশি হতেন বলে জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা খাতুন বলেন, তার ২৯ বছর শিক্ষকতা জীবনে লিতুন জিরার মতো মেধাবী শিক্ষার্থীর দেখা পাননি। এক কথায় সে অসম্ভব মেধাবী। শুধু লেখা-পড়ায় না, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও অন্যদের থেকে কোন অংশে কমতি নেই।