Type to search

সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা

অভয়নগর

সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা

মিঠুন দত্ত: যশোরের অভয়নগরে স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার পর সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে

আত্মহত্যা করেছেন কুলসুম আক্তার কুসুম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের প্রফেসরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুলসুম আক্তার ব্যবসায়ী এমতিয়াজ আবাবিল মোহাম্মদ ইয়াসিনের স্ত্রী। একটি রক্তমাখা ইনজেকশন সিরিঞ্জ ও মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, “গৃহবধূর মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। অভয়নগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ নামানো হচ্ছে। ঘরের মেঝেতে রক্ত দিয়ে লেখা রয়েছে ‘এ’ যোগ ‘আর’। তার পাশে পড়ে আছে একটি রক্তমাখা ইনজেকশন সিরিঞ্জ।নিহতের একমাত্র কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মিম জানান, “রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় মা ঢাকায় অবস্থানরত বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। রাত ৮টার সময় বাবা আমাকে মোবাইল করে বলেন তোমার মাকে বাঁচাও। এসময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে দেখি গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মার দেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলে আছে।  তাঁর বাবা ঢাকায় ব্যবসা করেন।নিহতের এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “নিহত কুলসুম আক্তারের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর পূর্বে রাজধানী ঢাকার আব্দুল মালেকের ছেলে এমতিয়াজের বিয়ে হয়। তাদের মেয়ে মিমের বয়স এখন (১৮)। এমতিয়াজের প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমার মেয়ে মিম। রুমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এমতিয়াজ অভয়নগরে আসে এবং কুলসুমকে বিয়ে করে। এরপর থেকে কুলসুম ও মিম প্রফেসরপাড়ায় সাবেক শিক্ষক মতিয়ার রহমানের বাড়ি ভাড়া করে বসবাস শুরু করে।পরবর্তীতে এমতিয়াজ তাঁর প্রথম স্ত্রী রুমার সঙ্গে পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুললে এমতিয়াজ ও কুলসুমের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে নিজের রক্ত দিয়ে এমতিয়াজের ‘এ’ এবং রুমার ‘আর’ লিখে সে আত্মহত্যা করেছে। এমতিয়াজ একজন বহু বিবাহের প্রতারক, আমাদের কুলসুমের মৃত্যুর জন্য সে দায়ী। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভয়নগর থানার এসআই শাহ আলম জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। তদন্ত চলছে”।  নিহত গৃহবধূ তাঁর বাম হাতে ইনজেকশন সিরিঞ্জ ব্যবহার করে রক্ত বের করেন এবং এ  যোগ আর লিখেছিলেন। এনিয়ে ভিক্টিমের মা হামজিরা বেগম সেই রাতে এমতিয়াজকে আসামি করে থানায়  ‘প্রতারনা করে হত্যা’ মামলা করেছেন ।