যে গাছে আলু, সে গাছেই বেগুন
বিখ্যাত ছড়াকার ও সাহিত্যিক সুকুমার রায় যদি এই গবেষক দলের সদস্য হতেন, তাহলে হয়তো তাঁর ‘খিচুড়ি’ কবিতার মতো করে গাছটির নাম দিতেন ‘আগুন’ কিংবা ‘বেলু’। তবে আইইউবিএটির গবেষক দল বেগুনের ইংরেজি পরিভাষা ‘ব্রিঞ্জাল’ আর ‘আলু’ একত্র করে গাছটির নাম দিয়েছে ‘ব্রিঞ্জালু’ বা ‘বেগুনালু’।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা এম আলিমউল্যা মিয়ানের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর অর্থায়নে শুরু হয় এই গবেষণা। গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সাবেক উপাচার্য আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুক। তাঁর সঙ্গে কথা হলো ব্রিঞ্জালু নিয়ে।সহকারীর সঙ্গে অধ্যাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুক
নতুন এই উদ্ভাবনের সুফল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসছে। তাই একই জমিতে একই গাছ থেকে যদি কম সময়ে দুই ধরনের ফসল উৎপাদন করা যায়, তা আমাদের কৃষিব্যবস্থায় বড় ভূমিকা রাখবে। সরকারি উদ্যোগে সহায়তা পেলে এবং মাঠপর্যায়ের কৃষকদের এভাবে কলম পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে তা কৃষিতে বিপ্লব আনতে সাহায্য করবে।’ ব্রিঞ্জালু উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াতেই প্রাকৃতিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেচসহ অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও একই গাছ হওয়ায় একবারই খরচ হচ্ছে।
গবেষক দলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুকের সহযোগী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহকারী পরিচালক ফাহাদ উল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সদ্য স্নাতক মাহাদী হাসান। এ সফলতার আগেও ২০১৮ সালে আইইউবিএটিতে গবেষণার মাধ্যমে একই গাছে টমেটো ও আলু উৎপাদনে সফল হয়েছিল এই দল। তারা সেটির নাম দিয়েছিল ‘টমালু’।সূত্র,প্রথম আলো