Type to search

যাত্রাপালা এখন হিন্দু সংস্কৃতের ফ্রেমে বন্দি

বিনোদন

যাত্রাপালা এখন হিন্দু সংস্কৃতের ফ্রেমে বন্দি

স্টাফ রিপোর্ট
সনাতন ধর্মবলীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্যামা পূজা। গত ২৪ অক্টোবর দেশের সর্বত্র মহাধূমধামে এ পূজা পালন করা হয়। সারা দেশের ন্যায় যশোরের অভয়নগর উপজেলায় তিন শতাাধিক মন্ডবে এ পূজা পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলীরা।
অভয়নগরে শ্যামা পূজা উপলক্ষে মন্ডবে মন্ডবে বাংলার ঐতিহ্যবাহি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের বিখ্যাত হিন্দু অধ্যুষিত ৯৬ খান গ্রামের ভাটবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ পূজায় ব্যাপক আয়োজন করা হয়। এলাকাটি ভবদহ জলাবদ্ধ অঞ্চল। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এলাকাবাসী মহাধূমধামে পালন করলো দুর্গা ও শ্যামা পূজা।
শ্যামা পূজা উপলক্ষে ভাটবিলায় নানা পসরার মেলা বসানো হয়। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলো যাত্রাপালা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নওয়াপাড়া রাজঘাট শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক, নওয়াপাড়া পৌসভার প্যানেল মেয়র, বংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিন অধিকারি ব্যাচা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ যাত্রাপালা। যাত্রপালটি পরিবেশন করেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা যাত্রাদল দেবহাটা নাট্য সংস্থা।
এক সাক্ষাতকারে দেবহাটা নাট্য সংস্থার পরিচালক ও মালিক এম এ হান্নান জানান, যাত্রা অথবা মঞ্চ নাটক এখন শুধু হিন্দু সংস্কৃতে আবদ্ধ হয়ে আছে। আগের মাতো এখন গ্রামে গ্রামে এ সংস্কৃত চর্চা হয় না। মুসলমান এলাকায় মৌলবীরা নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যে কারনে আমরা সেখানে নিরাপত্তা পাই না। তবে হিন্দু এলাকায় যাত্রাপালার এখনো কদর আছে। তারা বিভিন্ন পূজা পার্বনে যাত্রা গানের আয়োজন করে। এম এ হান্নান এর মতে হিন্দুরাই এ পেশাটি টিকিয়ে রেখেছে। তিনি আরো জানান ২৪ থেকে ৩০ জন নাট্য কর্মী রয়েছে তার দলে। এসকল নাট্য কর্মীর জীবন জিবীকা চলে যাত্রাপালা করে। প্রতিবছর দুর্গা পূজা থেকে শুরু হয় যাত্রার মৌসুম আর তা চলে চৈত্র মাসের বাসন্তী পূজা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে এক এক জন শিল্পীর ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় হয়। এ ছাড়া শিল্পীরা অবসর সময় ক্ষুদ্রব্যবসা ও গৃহস্থলীর কাজ করে সংসার চলে। যাত্রার প্রচলন কমে যাওয়ায় অনেক শিল্পী চায়ের দোকান, পান বিড়ির দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এম এ হান্নান অসচ্ছাল এ সব নট্যকর্মীদের সরকারি ভাবে সম্মানী দেওয়ার দাবি করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *