Type to search

প্রবাসীর রেমিটেন্সে দেশ স্বচল সেই প্রবাসী মায়ের অপচিকিৎসায় প্রবাসীর ক্ষোভ

নড়াইল

প্রবাসীর রেমিটেন্সে দেশ স্বচল সেই প্রবাসী মায়ের অপচিকিৎসায় প্রবাসীর ক্ষোভ

প্রবাসীর রেমিটেন্সে দেশ স্বচল সেই প্রবাসী মায়ের অপচিকিৎসায় প্রবাসীর ক্ষোভ। য়ার অভিযোগ উঠেছে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মোশফেকুরের বিরূদ্ধে। 
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে :
প্রবাসীর রেমিটেন্সে দেশ স্বচল সেই প্রবাসী মায়ের অপচিকিৎসায় প্রবাসীর ক্ষোভ। অভিযোগ উঠেছে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মোশফেকুরের বিরূদ্ধে।
নড়াইল সদর বিষ্ণুপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো: ফয়জুল কবীরব’র মাকে ভুল ও অপ—চিকিৎসা দিয়েছে। যে প্রবাসীর রেমিটেন্সে দেশ স্বচল সেই প্রবাসী মায়ের অপচিকিৎসায় প্রবাসীর ক্ষোভ। নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মো: মোশফেকুর রহমানের বিরূদ্ধে সৌদি প্রবাসীর মা’কে ভুল চিকিৎসা দেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৌদী প্রবাসী ওই ব্যক্তি জানান, তার মা’ গত১৫.১২.২০২২তারিখে অসুস্থার কারণে প্রবাসী নিজেই হাসপাতালে নিয়ে আসে পরে টিকিট কেটে ডা:মো মোশফেকুরকে দেখায়।ডা: কিছু টেষ্ট দেয়।ডা: সহকারী আস্তে আস্তে বলে ভাই সততাই জান এই টেষ্ট গুলা করান,প্রবাসী মো: ফয়জুল কবীর ভালো চিকিৎসা পাওয়ার আশাই সততা থেকেই টেষ্ট গুলা করে আবার ওনাকে দেখায়।ঐ একই দিনে প্রবাসীর ছুটি শেষ হবার কারণে সৌদির উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসে এবং ১৬.১২.২০২২ তারিখ সকালের ফ্লাইটে সৌদি চলে আসেন।কিছু দিন পর আবার প্রবাসীর মা রাশিদা বেগম অসুস্থ হলে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সপ্তাহ খানেক থাকার পর রোগী কে ৩ ব্যাগ রক্ত দেয়।তার পর রোগী একটু সুস্থতা বোধ করে,এবং ডা:মো: মোশফেকুরকে সততাই স্পেসাল দেখালে ৩ মাসের ব্যাথা নাশক ঔষুধ লিখে দেয়।এই ঔষুধ খেতে খেতে রোগী রাশিদা বেগম আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত০৮.০৩.২০২৩ তারিখে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাঃ মো: মোশফেকুর রহমান দফায় দফায় তাকে ব্যথার ঔষধ দেন। আর রোগির শরীরে বার বার রক্ত দেন। কোন টেষ্ট ছাড়াই রোগির শরীরে রক্ত দেন। রক্ত শূণ্যতার রোগিকে আথ্রর্াইটিস রোগের চিকিৎসা দিয়েছেন। কেন রক্ত তৈরী হচ্ছে না,সেটার কারণ চিহৃিত না করে বিপুল পরিমান ব্যথার ঔষুধ দেয়ায় ওই রোগি চরম অসুস্থ হয়ে পড়েছে।০৯.০৩.২০২৩ তারিখে বাধ্য হয়ে যশোরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ওই রোগির নাম রশিদা বেগম (৭০)। হাসপাতালে দেখানোর পর ওই রোগিকে ডাঃ মো: মোশফেকুর রহমানকে।গত ১৫.১২.২০২২তারিখে পর নড়াইলের মল্লিক ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও সততা ডায়গনষ্টিক সেন্টার হতে নানা ধরনের টেষ্ট করানো হয়েছে। কিন্তু যে টেষ্ট ওই রোগির জন্য একান্ত প্রয়োজন সেটা করানো হয়নি। টেষ্ট বাণিজ্য করার জন্যই কেবলমাত্র রোগিকে টেষ্ট দেয়া হয়েছে। রোগ নির্নয়ের জন্য যে টেষ্ট প্রয়োজন,সচেতনভাবেই সে টেষ্ট দেয়া হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক।প্রবাসী বলেন আমাকে কেন সততার কথা বলা হলো?টেষ্ট আমি যেখানে খুশি করবো।প্রবাসী ফয়জুল কবীর বলেন তাহলে সততা থেকে ডা: কি কমিশন পায় এটা তার প্রশ্ন।
ক্ষুব্ধ সৌদী প্রবাসি জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালের ডা: মোশফেকুেরর চিকিৎসার কারণে এখন তার মা মৃত্যু শয্যায়। যশোর সদরে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তিনি পারবেন না। এ কথাটা বলে দিতেন অথবা রেফার্ড করে দিতেন। তা—না করে কেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘুরিয়ে অপচিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিলেন? এভাবে রোগির জীবন নিয়ে তামাশা করা ও কৌশলে অর্থরোজগার করাটা কি ঠিক? এটা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা নয় কি? এ ধরনের অসংখ্য প্রশ্ন রেখে তিনি ডাঃ মোশফেকুর রহমানের বিচার দাবি করেন ও তিনি বলে আর কোন মায়ের যেন এরকম অপচিকিৎসা দেওয়া না হয়,এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।এ ব্যাপারে প্রবাসী মো:ফয়জুল কবীর নড়াইলের সিভিল সার্জন এর সাথে যোগাযোগ করলে ওনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। প্রবাসী আর বলেন মায়ের সুচিকিৎসার পরই ওনি আইনের আশ্রয় নিবেন।এ বিষয়ে ডাঃ মো: মোশফেকুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *