Type to search

ইভ্যালি চালু করার নতুন তারিখ ঘোষণা

অর্থনীতি

ইভ্যালি চালু করার নতুন তারিখ ঘোষণা

ঢাকা: গত এক বছর বন্ধ থাকার পর ই-কমার্সা কোম্পানি ইভ্যালি “ধন্যবাদ উৎসব” নামে নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে। ইভ্যালির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ইভ্যালির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে “ধন্যবাদ উৎসব” ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেন। ক্যাম্পেইনটি আগামী ২৮ অক্টোবর রাত ১০ টায় শুরু হবে।

নতুন যাত্রা নিয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন জানান, ১৫ অক্টোবর কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দিতে তারিখ পিছিয়ে ২৮ অক্টোবর করা হয়েছে। এবার মুনাফা ছাড়া একটা পণ্যও বিক্রি করবে না ইভ্যালি।

ইভ্যালি এবার যে মডেলগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করবে, সেগুলো হলো পিক এন পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি। পিক এন পে মডেলে গ্রাহকেরা ইভ্যালির ওয়েবসাইট থেকে পণ্য অর্ডার করার পর নির্দিষ্ট আউটলেটে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে পণ্যটি সংগ্রহ করবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি মডেলে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করবে। আর ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি মডেলে পণ্য বুঝে পাওয়ার আগেই টাকা পরিশোধ করতে হবে।

শামীমা নাসরিন বলেন, গ্রাহকের পূর্বের অর্ডার ডেলিভারি করতে এবং নতুন কিছু চমকপ্রদ সার্ভিস দিতে ইভ্যালির এ যাত্রা। অভিযোগবিহীন ই-কমার্স তৈরির আদর্শ উদাহরণ তৈরি করব আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই। গ্রাহকের সব ধরনের অপেক্ষা সমাপ্তির লক্ষ্য নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ধন্যবাদ উৎসব’।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। শুরুর পর থেকেই গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে দেওয়া হয় একের পর এক আকর্ষণীয় অফার। ইভ্যালির এমন অবিশ্বাস্য অফার নিয়ে শুরুতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সমালোচনা থাকলেও গ্রাহকরা সেই অবিশ্বাস্য অফারে ঝুঁকে পড়ে। তড়িৎ গতিতে বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়।

বাইক, ফ্রিজ, ফার্নিচারসহ যাবতীয় সব পণ্যে মূল্য ছাড়ের ছড়াছড়ি চলে ইভ্যালিতে। গ্রাহকরাও এমন মূল্য ছাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শুরুতে রমরমা ব্যবসা করে ইভ্যালি।

আগে টাকা পরে পণ্য ডেলিভারি দিলেও শুরুতে গ্রাহকদের কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে যখন পণ্য ডেলিভারির সময় দীর্ঘ হতে থাকে এরপরই গ্রাহকদের কাছ থেকে আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগের মাত্রা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে।

গ্রাহকদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধানে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিলে কোম্পানির গোঁজামিলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই মন্ত্রণালয় ইভ্যালির বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।

মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যেও ইভ্যালি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায় ইভ্যালির গ্রাহকদের অভিযোগ। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।