Type to search

স্বাস্থ্য বিধি মানতে অনেকেই উদাসীন

রাজধানী

স্বাস্থ্য বিধি মানতে অনেকেই উদাসীন

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মিরপুর ১০ নম্বরে বিকেল থেকে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সময়ে অনেককেই মাস্ক না পরে চলাফেরা করতে দেখা যায়। মাস্ক না থাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তারা নানা ধরনের যুক্তি দেয়ারও চেষ্টা করে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে এসময় সচেতনতার কথা তুলে ধরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

অভিযান চলাকালে দেখা যায়, সব বয়সী মানুষের মধ্যেই মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা কম রয়েছে। তবে অনেকের মুখেই ছিল মাস্ক। এছাড়া সরকার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও দোকানপাট খোলা রাখায় বেশ কয়েকটি দোকানমালিককে জরিমানা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখতে ভিড় জমায় আশপাশের লোকজন।

নির্ধারিত সময় পার হলেও দোকান খোলা রাখার অভিযোগে মিরপুর ১০ নম্বরের মুসলিম সুইটস অ্যান্ড বেকারিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আলামিন কমার্শিয়াল সেন্টার নামে একটি কম্পিউটার দোকানের মালিককে ১ হাজার জরিমানা করা হয়। মাস্ক না পরায় ১০ জন ব্যক্তিসহ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পরিমাণ জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণকে সচেতন করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অনেকের মধ্যেই মাস্ক ব্যবহার কিংবা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়টি থাকলেও কিছু সংখ্যকের মধ্যে এখনও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। তাদের সচেতন করতে এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আবার অনেকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা থাকলেও নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরিমানা করে কিংবা আইন প্রয়োগ করে স্বাস্থ্য বিধি মানানো সম্ভব নয় যদি না জনগণ সচেতন হয়। সচেতন হলেই করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮- আওতায় এসব জরিমানা করা হয়। সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন