Type to search

যশোরের মণিরামপুরে ১৭ টি ইউনিয়ানে দুগ্ধ গাভী পালন কারি খামারিদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

মনিরামপুর

যশোরের মণিরামপুরে ১৭ টি ইউনিয়ানে দুগ্ধ গাভী পালন কারি খামারিদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

 

এইচ এম জুয়েল রানা : মণিরামপুর উপজেলায় ১৭ টি ইউনিয়ানে মহামারী করোনায় ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দুগ্ধ গাভী পালন কারি খামারিদের তালিকা তৈরির অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নের তালিকা ইউএনও অফিস হয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে জমা পড়েছে। এ নামের তালিকা নিয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে নেমেছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজনীয় নীতিমালা অনুসরণ না করেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে। গরু নেই এমন ব্যক্তির নামও তালিকায় স্থান পাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী জানান,আমার কাছে তালিকা নাই উপজেলা ইউএনও অফিসে জমা হয়েছে । তালিকা নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে ইউএনও অফিসে আবেদনের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করোনাকালীন দ্বিতীয় ধাপে মণিরামপুর উপজেলার এক হাজার তিনশ গরুর খামারিকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে সরকার। যেসব খামারির সংসারের মোট আয়ের ৩০ ভাগ গরু পালন থেকে আসে এবং যাদের দুইটি গাভী আছে এবং এ গাভী দুইটি আলাদা আলাদা ভাবে পাঁচ লিটার, পাঁচ লিটার করে মোট ১০ লিটার দুধ হয় যার তারাই মূলত এই সুফলভোগী হতে পারবেন।
সুফলভোগী নির্বাচন ও তালিকা বাস্তবায়নের জন্য ইউএনওকে প্রধান ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কোটা ভাগ করে কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের যোগ্য খামারিদের তালিকা চেয়ে পহেলা জুন চিঠি করা হয়েছে সব ইউপি চেয়ারম্যানদের। যেখানে ৯ জুন তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারের নির্ধারিত শর্ত না মেনে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। দুধের গাভীতো দূরের কথা গরু নেই এমন ব্যক্তিদের নামের পাশে ৪-৫টি গরু দেখিয়ে তালিকায় নাম দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ অফিসের একাধিক কর্মী থাকলেও তাদের বাদ রেখে ইউপি চেয়ারম্যানদের দিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। যা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া তালিকা তৈরিতে চেয়ারম্যানদেরও অনেক চাপ সইতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোনো কোনো চেয়ারম্যান।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, ‘দ্বিতীয়ধাপে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিলো সঙ্গত কারণে সেই তালিকা বাদ দিতে হয়েছে। নতুন করে শুধু চেয়ারম্যানদের দিয়ে আবার তালিকা করা হয়েছে।